উত্তরবঙ্গ সংবাদ ডিজিটাল ডেস্কঃ নিয়োগ দুর্নীতিতে ফের বেনজির রায় কলকাতা হাইকোর্টের। বিচারপতি গঙ্গোপাধ্যায়ের নির্দেশে চাকরি গেল ৩৬ হাজার ভুয়ো প্রাথমিক শিক্ষকের। যাদের চাকরি গিয়েছে তারা সকলেই অপ্রশিক্ষিত। ৩৬ হাজার প্রাথমিক শিক্ষকের চাকরি বাতিলের নির্দেশ দিতে গিয়ে নিয়োগ দুর্নীতিতে গ্রেপ্তার মানিক ভট্টাচার্যের প্রসঙ্গ টানলেন বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়। বিচারপতি জানান, মানিক ভট্টাচার্য প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদের সভাপতি থাকার সময়ই এই বেআইনি নিয়োগ হয়েছে। তাই নতুন নিয়োগ প্রক্রিয়ার খরচ রাজ্য সরকার চাইলে মানিকের কাছ থেকে নিতে পারবে বলে নির্দেশ দিয়েছেন বিচারপতি গঙ্গোপাধ্যায়।
গত ১১ অক্টোবর নিয়োগ দুর্নীতির মামলা ইডির হাতে গ্রেপ্তার হয়েছিলেন মানিক ভট্টাচার্য। বর্তমানে পলাশিপাড়ার বিধায়ক মানিকের পাশাপাশি তাঁর ছেলে বৌ জেলবন্দি। সম্প্রতি বিচারপতি গঙ্গোপাধ্যায় মানিক ভট্টাচার্যকে আদালতে ডেকে নিয়োগ দুর্নীতি নিয়ে বেশ কিছু প্রশ্নও করেছিলেন। এই মামলায় অতীতে বিচারপতি গঙ্গোপাধ্যায় নির্দেশ দিয়েছিলেন মানিকের সব সম্পত্তি বাজেয়াপ্ত করতে। দেশে, বিদেশে মানিকের যত সম্পত্তি আছে, তা বাজেয়াপ্ত করার নির্দেশ দিয়েছিলেন তিনি। মানিককে ৫ লক্ষ টাকা জরিমানা করেছিলেন বিচারপতি গঙ্গোপাধ্যায়। বলেছিলেন, জরিমানার অর্থ না মেটানো পর্যন্ত তাঁকে সম্পত্তি ফেরত দেওয়া হবে না। মামলাকারী ২০১৭ সালের টেট পরীক্ষার্থী শাহিলা পরভীনের অভিযোগ ছিল, জরিমানার টাকা মানিক দেননি। এই অভিযোগের পরেই মানিকের যাবতীয় সম্পত্তি বাজেয়াপ্ত করার নির্দেশ দিয়েছিল উচ্চ আদালত।
৩৬ হাজার প্রাথমিক শিককের চাকরি বাতিল নিয়ে বিচারপতির রায়, এই শিক্ষকেরা সকলেই অপ্রশিক্ষিত। আগামী চার মাস তাঁরা স্কুলে যেতে পারবেন। বেতন পাবেন প্যারা টিচার হিসাবে। আগামী ৩ মাসের মধ্যে এতগুলো শূন্যপদে নিয়োগ প্রক্রিয়া শুরু করে শেষ করতে হবে বলে রাজ্যকে নির্দেশ দিয়েছে হাইকোর্ট। বিচারপতি আরও জানিয়েছেন, যাঁদের চাকরি বাতিল হয়েছে, তাঁরা ইতিমধ্যে প্রশিক্ষণ নিয়ে থাকলে নতুন নিয়োগ প্রক্রিয়ায় তাঁরাও অংশ নিতে পারবেন।