কোচবিহার: মাধ্যমিকের পর এবার উচ্চমাধ্যমিকেও মোবাইল নিয়ে পরীক্ষার হলে ঢোকায় এক পরীক্ষার্থীকে বহিষ্কার করল উচ্চমাধ্যমিক শিক্ষা সংসদ। সোমবার ঘটনাটি ঘটেছে কোচবিহারের রামভোলা হাইস্কুলে। বহিষ্কৃত পরীক্ষার্থী কোচবিহারের মহারাজা নৃপেন্দ্রনারায়ণ হাইস্কুলের ছাত্র। এদিন তার রাষ্ট্রবিজ্ঞান পরীক্ষা ছিল। পরীক্ষা শুরুর আড়াই ঘণ্টা পর হলের ভেতরে তার মোবাইল ধরা পড়ে। বিষয়টি নিয়ে উচ্চমাধ্যমিক শিক্ষা সংসদের কোচবিহার জেলা কনভেনার মানস ভট্টাচার্য বলেন, ‘রামভোলা স্কুলে পরীক্ষা দেওয়ার সময় নৃপেন্দ্রনারায়ণ হাইস্কুলের এক ছাত্র মোবাইল নিয়ে ধরা পড়েছে। তাকে বহিষ্কার করা হয়েছে। তার এ বছরের সমস্ত পরীক্ষাও বাতিল করা হয়েছে।’ মেটাল ডিটেক্টরের মধ্যে দিয়ে পরীক্ষার্থীদের হলে ঢোকার অনুমতি মেলে। সেখানে ওই ছাত্র কী করে মোবাইল নিয়ে হলের ভেতরে ঢুকল, তা নিয়ে প্রশ্ন উঠছে।
গত ৩ মার্চ শুরু হয় উচ্চমাধ্যমিক পরীক্ষা। প্রশ্নপত্রের নিরাপত্তার খাতিরে প্রতিটি ভেনুতেই মেটাল ডিটেক্টর রাখা হয়েছিল। পরীক্ষার বিভিন্ন নিয়মবিধির মধ্যে পরীক্ষার হলে মোবাইল নিয়ে ঢোকা একেবারেই নিষিদ্ধ। কোনও পরীক্ষার্থী মোবাইল নিয়ে পরীক্ষার হলে ঢুকলে শুধু বহিষ্কারই নয়, তার এ বছরের পুরো পরীক্ষাও বাতিল হয়ে যাবে। তারপরেও ওই পরীক্ষার্থীর ‘দুঃসাহসিক’ কর্মকাণ্ডে শোরগোল পড়ে গিয়েছে।
সোমবার সকাল ১০টা থেকে পরীক্ষা শুরু হওয়ার আড়াই ঘণ্টা পর, বেলা সাড়ে ১২টা নাগাদ পরীক্ষক ওই ছাত্রের কাছ থেকে মোবাইল বাজেয়াপ্ত করেন। ঘটনার কথা জানতে পেরে উচ্চমাধ্যমিক শিক্ষা সংসদের দায়িত্বে থাকা আধিকারিকরা ঘটনাস্থলে পৌঁছান।
এই আড়াই ঘণ্টার মধ্যে ওই পরীক্ষার্থী প্রশ্নপত্র বাইরে পাঠাতে পারে। সেক্ষেত্রে পরীক্ষার প্রশ্নপত্র ফাঁস হওয়ার সম্ভাবনাও একেবারে উড়িয়ে দেওয়া যায় না। এ বিষয়টি নিয়ে জিজ্ঞাসা করা হলে মানস বলেন, ‘আমরা ওই পরীক্ষার্থীর মোবাইল চেক করেছি। প্রশ্নপত্র কোথাও বাইরে পাঠায়নি।’
উচ্চমাধ্যমিক সংসদের কনভেনার বলছেন বটে তাঁরা মোবাইলটি পরীক্ষা করেছেন। সেখানে দেখা যাচ্ছে, প্রশ্নপত্র বাইরে পাঠানো হয়নি। কিন্তু যে পরীক্ষার্থী মেটাল ডিটেক্টর এড়িয়ে মোবাইল নিয়ে পরীক্ষার হলের ভেতরে ঢুকে পরীক্ষা দিতে পারে, সে তো প্রশ্নপত্র বাইরে পাঠিয়ে সেটা আবার ডিলিটও করে দিতে পারে। তাহলে মানসরা কী করে এত নিশ্চিত হচ্ছেন যে ওই পরীক্ষার্থী প্রশ্নপত্র বাইরে পাঠায়নি?