কিশনগঞ্জ: বেআইনি অস্ত্র তৈরির কারখানার হদিস পেল বিহার পুলিশ। অস্ত্র কারখানাটি গড়ে উঠেছিল পূর্ণিয়া জেলার বরহরাকোঠি থানার সুখাসন কোঠি গ্রামে। গোপন সূত্রে পাওয়া খবরের ভিত্তিতে পুলিশ হানা দিয়ে সেই কারখানা থেকে উদ্ধার হয় প্রচুর আগ্নেয়াস্ত্র ও আগ্নেয়াস্ত্র তৈরির সামগ্রী। এই ঘটনায় গ্রেপ্তার হয়েছে এক অস্ত্র ব্যবসায়ী।
জানা গিয়েছে, পূর্ণিয়া জেলার বরহরাকোঠি থানার সুখাসন কোঠি গ্রামের বাসিন্দা শেখর প্রসাদ সিংয়ের বাড়িতে গত তিন মাস ধরে অবৈধভাবে চলছিল অস্ত্র তৈরির কারখানা। গোপনসূত্রে পাওয়া খবরের ভিত্তিতে বৃহস্পতিবার রাতে সেই কারখানায় হানা দেয় পূর্ণিয়া জেলা পুলিশের একটি বিশেষ দল। সেই অভিযানে উদ্ধার হয়েছে ৩৮৮টি কার্তুজ, নগদ ৩ লক্ষ ৬৮ হাজার টাকা, প্রচুর সংখ্যক অর্ধ নির্মিত আগ্নেয়াস্ত্র, রাইফেলের ব্যারেল, আগ্নেয়াস্ত্র নির্মাণের প্রচুর কাচামাল ও আগ্নেয়াস্ত্র তৈরির অত্যাধুনিক মেশিন। এই অস্ত্র তৈরির কারখানার মালিক শেখর প্রসাদ সিংকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।
পূর্ণিয়ার পুলিশ সুপার কার্তিকেও শর্মা জানিয়েছেন, এই সুখাসন কোঠি গ্রামে এর আগেও অস্ত্র তৈরির কারখানার হদিস পেয়েছিল পুলিশ। সেটি বন্ধ হয়ে যাওয়ার পর ফের অস্ত্র কারখানা গড়ে উঠেছে। এই কারবারের মূল পান্ডাকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। এই কারবারের সঙ্গে যুক্ত আরও তিনজনের নাম সামনে এসেছে। তাঁদের খোঁজে তল্লাশি শুরু করেছে পুলিশ। এই কারখানার তৈরি অস্ত্র ভিনরাজ্যে পাচার করা হত বলেও জানিয়েছেন পূর্ণিয়া পুলিশ সুপার।
শনিবার ধৃতকে তোলা হয়েছিল পূর্ণিয়া জেলা আদালতে। ধৃতকে ১৪ দিনের জেল হেপাজতের নির্দেশ দিয়েছে আদালত। আদালতের নির্দেশমতো তাকে পূর্ণিয়া সেন্ট্রাল জেলে পাঠানো হয়েছে।