মালবাজার: আদালত সংলগ্ন বেআইনি নির্মাণ (Illegal construction) দেখে চূড়ান্ত ক্ষুব্ধ হলেন বিচারপতি বিশ্বজিৎ বসু (Justice Bishwajeet Basu) । অবিলম্বে সেই ভবনের নির্মাণকাজ বন্ধ করার নির্দেশ দেন তিনি। বুধবার মালবাজারে আসেন কলকাতা হাইকোর্টের জলপাইগুড়ির সার্কিট বেঞ্চের বিচারপতি বিশ্বজিৎ বসু। দ্রুত মালবাজারে (Malbazar) মহকুমা আদালতের স্থায়ী ভবনের কাজ শুরু হতে চলেছে। ইতিমধ্যেই চিহ্নিত হয়েছে নির্দিষ্ট জমি। সেই কাজের অগ্রগতি খতিয়ে দেখতে পরিদর্শনে আসেন বিচারপতি বিশ্বজিৎ বসু।
বুধবার সকালে তিনি প্রথমে বনলক্ষ্মী টুরিস্ট লজে পূর্ত বিভাগের বাস্তুকার, মহকুমা পুলিশ আধিকারিক রোশন প্রদীপ দেশমুখ, মাল থানার আইসি সৌম্যজিৎ মল্লিক সহ অন্যান্যদের সঙ্গে বৈঠক করেন। পরবর্তীতে বিচারপতি বসু বার অ্যাসোসিয়েশনের অস্থায়ী ঘরটি পরিদর্শন করেন। কথা বলেন আইনজীবীদের সঙ্গে। সেই ঘরটি সম্পূর্ণ সাজিয়ে তৈরি করার নির্দেশ দেন তিনি। পাশাপাশি বার অ্যাসোসিয়েশনের নিজস্ব শৌচাগার, ও পানীয় জলের ব্যবস্থার দিকে নজর দিতে বলেন বিচারপতি।
এরপর তিনি চলে যান মহকুমা আদালতের বর্তমান ভবনে। সেখানে বিভিন্ন কক্ষ পরিদর্শন করেন। বাইরে বেরিয়ে এসে আদালতের সীমানা ঘেঁষা একটি নির্মীয়মান দ্বিতল ভবন দেখে বেজায় রেগে যান তিনি। থানার আইসি সৌম্যজিৎ মল্লিককে কড়া হুঁশিয়ারি দিয়ে এই নির্মাণ কাজ বন্ধ করার নির্দেশ দেন বিচারপতি। পরে জাস্টিস বসু ডেকে পাঠান পুরসভার চেয়ারম্যান উৎপল ভাদুড়িকে। তৎক্ষণাৎ সেখানে পৌঁছান কাউন্সিলর পুলিন গোলদার এবং পুরসভার চেয়ারম্যান উৎপল ভাদুড়ি। আদালতের পুর চেয়ারম্যানকেও বেআইনি নির্মাণের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়ার নির্দেশ দেন বিচারপতি বিশ্বজিৎ বসু।

