চাঁদকুমার বড়াল, কোচবিহার : সবার চোখের সামনেই দিব্যি বেআইনি নির্মাণ চলছিল। এতদিন কোনও ব্যবস্থা নেওয়া হয়নি। শেষপর্যন্ত অবশ্য পুরসভার বোধোদয়। ওই নির্মাণকাজ বন্ধ করা হল। তবে একইসঙ্গে এনিয়ে প্রশ্নও উঠল। উত্তর অবশ্য মেলেনি।
রাজ আমলে স্থাপিত হেরিটেজ ভবন হিসেবে স্বীকৃত কোচবিহার মুস্তাফিবাড়ির সামনে পুরোনো প্রাচীর ভেঙে নতুন সীমানা প্রাচীর দেওয়া হয়েছে। পাশাপাশি, চার-পাঁচটি দোকান তৈরি চলছে। এর জেরে ওই হেরিটেজ ভবনটির সামনের অংশ ঢাকা পড়েছে। অভিযোগ কোচবিহার পুরসভা ও কোচবিহার হেরিটেজ কমিটিকে না জানিয়ে এই সমস্ত কাজ করা হয়েছে। এই সমস্ত কাজের জন্য কোচবিহার পুরসভার বিল্ডিং প্ল্যান সেকশন থেকে কোনও অনুমতি নেওয়া হয়নি। পরে অবশ্য সবকিছু জানতে পেরে পুরসভা ওই নির্মাণকাজ বন্ধ করে দেয়। তিনদিনের মধ্যে সমস্ত বেআইনি নির্মাণ না সরানো হলে আইন অনুযায়ী ব্যবস্থা নেওয়া হবে বলে পুরসভা জানিয়েছে। সবকিছু জানিয়ে পুরসভার তরফে এলাকায় নোটিশ দেওয়া হয়েছে। তবে এতদিন ধরে এই নির্মাণকাজ চললেও পুরসভা বা হেরিটেজ কমিটি কেন কোনও ব্যবস্থা নেয়নি তা নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে।
কোচবিহার পুরসভার চেয়ারম্যান রবীন্দ্রনাথ ঘোষ বলেন, ‘মুস্তাফিবাড়ি হেরিটেজ সম্পত্তি। পুরসভা ও প্রশাসনকে না জানিয়ে তার সামনে থাকা পুরোনো প্রাচীরটি ভেঙে নতুন প্রাচীর দেওয়া হয়েছে। পুরসভায় প্ল্যান পাশ না করে আর অনুমতি না নিয়ে বেশ কয়েকটি দোকান করা হয়েছে। অবশ্য কোনওভাবেই হেরিটেজ ভবনের সামনে দোকান তৈরির অনুমতি দেওয়া হত না। হেরিটেজ আইনে সংশ্লিষ্টদের নোটিশ করা হয়েছে।’ ওই নোটিশ পাওয়ার পর মুস্তাফিবাড়ির একজন শুক্রবার পুরসভায় দেখা করেন। চেয়ারম্যান বলেন, ‘ভবনটি হেরিটেজ সম্পত্তি নয় বলে দাবি করায় ওই ব্যক্তিকে এ সংক্রান্ত কাগজপত্র দেখাতে বলা হয়েছে। পুরসভার অনুমতি না নিয়ে কীভাবে পিলার বসানোর পাশাপাশি দোকান করা হল সেই সংক্রান্ত কাগজপত্রও চাওয়া হয়েছে। আমরা তিনদিন সময় দিয়েছি। প্রয়োজনীয় কাগজপত্র দেখাতে না পারলে ওই নির্মাণকাজ ভেঙে দেওয়া হবে।’ কোচবিহার হেরিটেজ কমিটির সদস্য ঋষিকল্প পাল বলেন, ‘হেরিটেজ সম্পত্তিগুলি রক্ষা করতে পুরসভা যে ব্যবস্থা নিচ্ছে তা প্রশংসনীয়। তবে এই সম্পত্তিগুলি রক্ষা সংক্রান্ত কী কী নিয়ম রয়েছে তা পুরসভার তরফে এই সম্পত্তিগুলির সঙ্গে সম্পর্কযুক্তদের ঠিকমতো জানিয়ে দেওয়াটাও প্রয়োজন। এবিষয়ে আলোচনাও করা দরকার।’
কোচবিহার শহরের কাছারি মোড় সংলগ্ন কেশব রোডে মুস্তাফিবাড়ি। কোচবিহারের এক অভিজাত জমিদার পরিবারের উত্তরসূরিরা বর্তমানে এখানে থাকেন। কোচবিহার শহরকে কেন্দ্র করে যে হেরিটেজ তালিকা তৈরি করা হয়েছে তার ১৩১ নম্বরে এই বাড়িটি রয়েছে। হঠাত্ করেই সেই বাড়ির সামনের অংশে নতুন সীমানা প্রাচীর, কয়েকটি দোকান তৈরি করায় চাঞ্চল্য ছড়ায়। দোকানগুলিতে একটি ফুলের ও একটি খাবার হোটেল চালু করা হয়েছে।
গোটা বিষয়টি জানতে পারার পর পুরসভা মাঠে নামে। তবে মুস্তাফিবাড়ি থেকে মেরেকেটে চারশো মিটার দূরে থাকা পুরসভার কী কারণে এতদিন পর বোধোদয় হল তা নিয়ে প্রশ্ন। কোচবিহার হেরিটেজ কমিটির ভূমিকা নিয়েও একইভাবে প্রশ্ন ওঠে। একটি সূত্রে খবর, স্বতঃপ্রণোদিতভাবে নয়, গোটা বিষয়টি জানিয়ে দপ্তরে একটি অভিযোগ জমা পড়ার পরই পুরসভা এনিয়ে মাঠে নামে। গোটা বিষয়টি এখন কোনদিকে গড়ায় সেদিকেই সবার নজর।
ইসলামপুর: হারিয়ে যাচ্ছে ইসলামপুরে (Islampur) ঐতিহ্য সূর্যাপুরি আম। কারণ, সরকারি সাহায্য ও প্রশাসনিক নজরদারির অভাব।…
উত্তরবঙ্গ সংবাদ ডিজিটাল ডেস্ক: চতুর্থ দফা ভোটের মধ্যে একেবারে অন্যরূপে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি (PM Narendra…
উত্তরবঙ্গ সংবাদ ডিজিটাল ডেস্কঃ দুই একটি জায়গায় বিক্ষিপ্ত ঘটনা ঘটলেও একপ্রকার নির্বিঘ্নেই ভোট চলছে বাংলার আটটি…
উত্তরবঙ্গ সংবাদ ডিজিটাল ডেস্ক: ভয়ংকর প্রাকৃতিক দুর্যোগে ক্ষতিগ্রস্ত ইন্দোনেশিয়ার(Indonesia) পশ্চিমাঞ্চল। একটানা ভারী বৃষ্টির ফলে সেই…
উত্তরবঙ্গ সংবাদ ডিজিটাল ডেস্ক: চলতি বছর দ্বাদশ শ্রেণির পরীক্ষার ফল (CBSE 12th Results 2024) ঘোষণা…
উত্তরবঙ্গ সংবাদ ডিজিটাল ডেস্কঃ এতদিন যিনি ছিলেন ‘ধর্মাবতার’, আর আজ তিনি মামলাকারীর ভূমিকায়। তিনি আর…
This website uses cookies.