জামালদহ: তিন মাস আগে শেষ হয়েছে বালি তোলার মেয়াদ। তারপরও মেখলিগঞ্জ ব্লকের জামালদহের সুটুঙ্গা নদী থেকে দিনরাত চলছিল অবৈধভাবে বালি তোলার কাজ। এর বিরুদ্ধে সরব হয়েছেন স্থানীয় বাসিন্দারা। বুধবার অবৈধ বালি তোলা আটকে দিয়ে বিক্ষোভ দেখালেন এলাকাবাসীরা।
জামালদহ বাজারের পাশেই রয়েছে জয়কালী বাড়ি পাড়া। আর এই জনবসতির কোল ঘেঁষে সুটুঙ্গা নদী রয়েছে। জামালদহ মহাশ্মশানের পেছনে রয়েছে নদীর চর। সেখান থেকে প্রতিদিন বালি তোলা হয়। কিন্তু অভিযোগ, বালি মাফিয়ারা সেই বালির বেড-এর নির্দিষ্ট এলাকা বাদ দিয়েও অন্য জায়গার বালিও তোলে। ফলে নদী তীরবর্তী এলাকায় দেখা দিয়েছে ভাঙন ও তীব্র জলকষ্ট। স্থানীয় বাসিন্দা ময়ন্তী হাজরা বলেন, ‘রাতে প্রতিদিন দশ বারোটা ট্রাক অবৈধভাবে বালি তোলা হয়। বারণ করলেও শোনে না। আজকেও দশটি বালির ডাম্পার বালি চুরি করছিল। আমরা পাড়ার বাসিন্দারা একজোট হয়ে বিক্ষোভ দেখালে তারা চলে যায়। অবৈধভাবে বালি তোলার ফলে এলাকার কুয়ো ও টিউবওয়েল-এর জল শুকিয়ে গিয়েছে। আমরা তীব্র জলকষ্টে ভুগছি।‘
জামালদহ গ্রাম পঞ্চায়েতের উপপ্রধান প্রশান্ত কুমার সাহা বলেন, ‘প্রতিদিন এক হাজার ডাম্পার বালি তোলা হচ্ছে। এই বালি বেডের মেয়াদ শেষ হয়েছে প্রায় তিন মাস আগে। তারপরও ওরা প্রশাসনের নাকের ডগায় বালি তোলার কাজ করেই চলছে। বিষয়টি নিয়ে একাধিকবার বিএলআরও ও এসডিএলআরও-কে জানানো হয়েছে।‘ বিষয়টি নিয়ে কোচবিহারের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার অমিত ভার্মার সঙ্গে যোগাযোগ করা হলে তিনি স্থানীয় বাসিন্দাদের অবিলম্বে লিখিত অভিযোগ দায়ের করতে বলেন। মেখলিগঞ্জের বিএলআরও সুজন রায়ের সঙ্গে যোগাযোগ করা হলেও তিনি ফোন তোলেননি। কিন্তু প্রশ্ন রয়েই যায়, জামালদহে বাজারে সুটুঙ্গা নদীর পাশেই রয়েছে পুলিশ ফাঁড়ি। তারপরও কীভাবে এই ঘটনা ঘটে। এনিয়ে জামালদহে চাপা অসন্তোষের সৃষ্টি হয়েছে।