উত্তরবঙ্গ সংবাদ ডিজিটাল ডেস্ক: বলিউড যখন ৯০-এর দশকের কাল্ট ক্লাসিক ছবি ‘জো জিতা ওহি সিকান্দার’ (Jo Jeeta Wohi Sikandar)-এর কথা মনে করে, তখন আমির খান বা আয়েশা ঝুলকার কথাই প্রথম মাথায় আসে। কিন্তু সম্প্রতি এই ছবির সেটের এক রোমাঞ্চকর ও মজাদার গল্প সামনে আনলেন কোরিওগ্রাফার-পরিচালক ফারাহ খান এবং জনপ্রিয় গায়ক শান। উল্লেখ্য, তাঁরা দুজনেই সেই ১৯৯২ সালের ছবিতে ব্যাকআপ আর্টিস্ট হিসেবে কাজ করেছিলেন।
সম্প্রতি গায়ক শানের বাড়িতে দেখা করতে যান ফারাহ খান । সেখানেই তাঁরা ‘জো জিতা ওহি সিকান্দার’-এর সেট-এর পুরনো দিনের স্মৃতিচারণ করেন। ফারাহ খান জানান, শানের জীবনে এটিই প্রথম ছবি। শান সেই কথায় সম্মতি দিয়ে বলেন, “হ্যাঁ, আমি সেখানে স্যাক্সোফোন হাতে ছিলাম!” ফারাহ সঙ্গে সঙ্গে জানান যে, তিনি একজন ‘জুনিয়র ড্যান্সার’ হিসেবে কাজ করেছিলেন।
শান-এর ছেলেরা ফারাহর কথা বিশ্বাস করতে না চাইলে তিনি পুরো ব্যাপারটি বিস্তারিত জানান। তিনি আসলে ছবির সহকারী পরিচালক (অ্যাসিস্ট্যান্ট ডিরেক্টর) ছিলেন, পরে কোরিওগ্রাফার হন। কিন্তু যখনই কোনও নৃত্যশিল্পী অনুপস্থিত থাকতেন, তখনই তাঁকে সেই জায়গায় পারফর্ম করতে হত। ফারাহর কথায় উঠে আসে আরও এক মজার ঘটনা। তিনি বলেন, “একটি দৃশ্যে দীপক তিজোরি (Deepak Tijori) আমার গালে চুমু খান। যে মেয়েটির সেই দৃশ্যে থাকার কথা ছিল, সে রাজি না হওয়ায় আমাকেই পাঠানো হয়।”
অন্যদিকে শান জানান, “চার দিন ধরে শুটিং করার পরেও ছবিতে কেবল একটি গানের একটি ‘পাসিং শট’-এই আমাকে দেখা গিয়েছিল।” ফারাহ খান এরপর হাসতে হাসতে জানান যে, গানটি ছিল যতীন-ললিত-এর। নির্মাতারা নাকি এতটাই অর্থ সংকটে ছিলেন যে, তাঁরা সুরকার যতীনকেও সেই গানের ভিড়ে ঢুকিয়ে দেন!
পারিশ্রমিক নিয়ে প্রশ্ন উঠলে শান জানান, তিনি চার দিনের জন্য প্রতিদিন ১৫০ টাকা করে পেয়েছিলেন। বাকিরা পেত ৭৫ টাকা। শানের কথা শুনে বিস্মিত ফারাহ খান বলেন, “তুমি টাকা পেয়েছিলে? আমি তো এক পয়সাও পাইনি! কিন্তু সত্যি বলতে, সেই ছবিটি আমার জন্য যা করেছে, তা কোনও পারিশ্রমিকের চেয়ে অনেক বেশি মূল্যবান।” উল্লেখ্য, মনসুর খান পরিচালিত এবং নাসির হোসেন প্রযোজিত ১৯৯২ সালের এই ছবিটিতে অভিনয় করেছিলেন আমির খান, আয়েশা ঝুলকা, দীপক তিজোরি এবং পূজা বেদী।

