চাঁচল: শুরু হয়েছে তীব্র দাবদাহ। চড়ছে তাপমাত্রার পারদ। তার মাঝেই তীব্র জলকষ্ট (Drinking water problem)। বৈশাখের গরমে পানীয় জল সংকটে চরম সমস্যায় এলাকার মানুষ। বাড়ি বাড়ি পিএইচই থেকে পাইপলাইন পৌছালেও জল অমিল। তাই এবার শুক্রবার দুপুরে জলের দাবিতে গ্রামের রাস্তায় বালতি রেখে বিক্ষোভে শামিল হলেন এলাকাবাসী। চাঁচলের ভাকরি গ্রাম পঞ্চায়েতের গোরকপুর গ্রামের ঘটনা। গোরকপুর এলাকার প্রায় হাজারখানেক পরিবার জলকষ্টে ভুগছে। ২০১৬ সালে পিএইচই বাড়ি বাড়ি পানীয় জলের পাইপ লাইন পৌঁছে দেয়। কিন্তু সেই পাইপলাইন থেকে ছয়মাস ধরে একফোঁটাও জল পড়েনি। শুধু তাই নয়, বাড়ি বাড়ি পাইপলাইন দেওয়ার নাম করে দপ্তর গ্রামবাসীর কাছ থেকে টাকা নিয়েছে বলেও অভিযোগ। কিন্তু তারপরেও অধরা পরিষেবা। তীব্র তাপপ্রবাহে গ্রামের প্রতিটি মানুষ জল কষ্টে ভুগছেন। পানীয় জলের জন্য কখনও মাঠের সেচ থেকে আবার কখনও অন্যের বাড়ি থেকে জল নিতে হচ্ছে দিনমজুর পরিবারগুলিকে। যে কয়েকজনের বাড়িতে ব্যক্তিগত সাবমার্সিবল রয়েছে। তারা জল পেলেও পরিমাণে অত্যন্ত কম। গ্রামবাসীদের দাবি, পিএইচই দপ্তর দ্রুত জল সরবরাহের ব্যবস্থা করুক। না হলে আগামী দিনে তারা ভোট বয়কট করবেন। আরও অভিযোগ, এলাকায় সরকারি সাবমার্সিবল পাম্প থাকলেও তা দীর্ঘদিন ধরে বিকল অবস্থায় পড়ে রয়েছে। বিক্ষোভকারী বেলুনুর বিবি বলেন, ‘এই গরমের মধ্যে হিসেব করে জল খরচ করতে হচ্ছে। অত্যন্ত সমস্যা হচ্ছে।’
আরেক বিক্ষোভকারী মহসিনা খাতুন জানান, ‘বাড়ি বাড়ি পাইপলাইন গেলেও জল মিলছে না। সরকারি সাবমারসিবল পাম্প খারাপ। লোকের ব্যক্তিগত সাবমার্সিবল থেকে আর কত জল নেওয়া যায় বলুন।’ এই ঘটনায় জনস্বাস্থ্য কারিগরি দপ্তরের সঙ্গে কথা বলে বাড়ি বাড়ি দ্রুত পানীয় জল পৌছে দেওয়ার আশ্বাস দিয়েছেন স্থানীয় জেলা পরিষদের সদস্যা রায়হানা পারভীন। তিনি বলেন, ‘পঞ্চায়েতের বিকল সাবমার্সিবল মেরামতের জন্য প্রধানের সঙ্গে আলোচনা করব। পিএইচই দপ্তরকেও (PHE) বলবো দ্রুত জলসংযোগ করতে।’