তমালিকা দে, লামাহাটা: পর্যটন(Tourism) মরশুমে একধাক্কায় অনেকটাই আয় বাড়ল লামাহাটা ইকো পার্কে(Lamahatta Eco Park)। মাসে প্রায় সাত লক্ষ টাকার টিকিট বিক্রি হচ্ছে। পার্কে আসা মানুষের ভিড়ে খুশি পার্ক কর্তৃপক্ষ সহ স্থানীয় হোমস্টের মালিকরা।
গরমে স্বস্তির খোঁজে এখন অনেকেই পাহাড়মুখী। রাজ্য তো বটেই দেশ-বিদেশের পর্যটকরাও দার্জিলিংয়ের ভিড় এড়াতে বেছে নিচ্ছেন অফবিট ডেস্টিনেশন লামাহাটাকে। ছোট্ট গ্রামটি মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সৌজন্যে পর্যটকদের নজর কাড়ছে। ২০১৩ সালে উত্তরবঙ্গ উন্নয়ন দপ্তরের আর্থিক সহযোগিতায় উত্তরবঙ্গে পর্যটনকে তুলে ধরতে এই ইকো পার্কটি তৈরি হয়। উদ্বোধন করেছিলেন খোদ মুখ্যমন্ত্রীই। পার্কে প্রাকৃতিক সৌন্দর্যের পাশাপাশি রয়েছে ট্রেকিংয়ের সুবিধাও। পাইন ঘেরা পার্কটি মন কাড়ছে দেশ-বিদেশের পর্যটকদের। তাগদা ফরেস্ট রেঞ্জের আওতাভুক্ত এই পার্কে ২০ টাকার টিকিটে ঘণ্টার পর ঘণ্টা সময় কাটাচ্ছে পর্যটকেরা। আকাশ পরিষ্কার থাকলে এখানকার নজরমিনার থেকেই দেখা মেলে অপরূপা কাঞ্চনজঙ্ঘার। দৈনিক সকাল আটটা থেকে সন্ধে সাড়ে ছ’টা পর্যন্ত এটি খোলা থাকে। পার্কটি ক্রমশই পর্যটকমহলে জনপ্রিয়তা পাচ্ছে। ইকোলজি বা বাস্তুবিদ্যা গবেষকরাও প্রাকৃতি পাঠের জন্য এখানে আসছেন বলে পার্কের কর্মী দোরজি সুব্বা জানান।
উত্তরবঙ্গের পর্যটনকেন্দ্রগুলির আকর্ষণ বিশ্ববাসীর কাছে তুলে ধরতে বারবার বার্তা দিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী। পাহাড়ের অফবিট স্থানগুলিকে পর্যটক(Tourist) মহলে জনপ্রিয় করতে, সেখানকার মানুষের আর্থসামাজিক উন্নয়নে মুখ্যমন্ত্রী সর্বদা সক্রিয়। ১২ বছর আগে তৈরি পার্কটির জনপ্রিয়তা বাড়তেই গ্রামবাসীরা আর্থিকভাবে অনেকটাই সচ্ছল হয়েছেন। সেজন্য তাঁরা ভালোবেসে পার্কটিকে মমতা পার্ক বলেও ডাকেন। স্থানীয় এক হোমস্টের মালিক লিমু শেরপা বলেন, ‘আগে লামাহাটায় পর্যটকরা থাকতেন না। কিন্তু ইকো পার্কের দৌলতে এখন প্রচুর পর্যটক আসেন। সেজন্য পার্কের আশপাশে অনেক হোমস্টে হয়েছে।’ পর্যটন মরশুমে হোমস্টেগুলিতে মাথাপিছু দৈনিক ভাড়া প্রায় ১৩০০ টাকা। পার্কের জনপ্রিয়তা বাড়ায় স্থানীয় খাবারের দোকানগুলিরও বিক্রি বেড়েছে। কোচবিহার থেকে আসা ইন্দ্রাণী চন্দ জানান, এত সুন্দর ইকো পার্ক আমি অন্য কোথাও দেখিনি। অনায়াসে ঘণ্টার পর ঘণ্টা সময় কাটানো যায়।