উত্তরবঙ্গ সংবাদ ডিজিটাল ডেস্কঃ পহেলগাঁওয়ে সন্ত্রাসবাদী হামলার পর থেকেই যুদ্ধপরিস্থিতি তৈরি হয়েছে ভারত-পাকিস্তানের মধ্যে। পাকিস্তানকে সবক শেখাতে পাক ভূমিতে প্রত্যাঘাত করছে ভারতীয় সেনা। লন্ডভন্ড হয়েছে পাকিস্তানের একাধিক শহর। পাক অধিকৃত কাশ্মীরে ৯টি জঙ্গি ঘাঁটি উড়িয়ে দিয়েছে ভারত। আকাশেই ধ্বংস করা হয়েছে শতাধিক ড্রোন। এই পরিস্থিতিতে দেশবাসীর মনোবল বাড়াতে মিথ্যের আশ্রয় নিচ্ছে পাকিস্তান। পাকিস্তান সেনাকে উদ্ধৃত করে একাধিক সংবাদমাধ্যমে দাবি করা হয়েছে, ভারতের বেশ কয়েকটি বায়ুসেনা ঘাঁটি উড়িয়ে দিয়েছে পাকিস্তান। সাইবার হামলা চালানো হয়েছে ভারতের বিদ্যুৎ পরিকাঠামোয়। শনিবার সকালে সাংবাদিক বৈঠক করে ভারতের বিদেশ সচিব বিক্রম মিসরি জানিয়েছে পাকিস্তানের এই দাবিগুলি ভুয়ো।
এদিন সকাল সাড়ে ১০টা নাগাদ যৌথভাবে সাংবাদিক বৈঠক করেন বিদেশ মন্ত্রক ও ভারতীয় সেনা। বৈঠকে ছিলেন বিদেশসচিব বিক্রম মিসরি, কর্নেল সোফিয়া কুরেশি এবং উইং কমান্ডার ব্যোমিকা সিংহ। এদিন কর্নেল সোফিয়া জানান, উরি, পুঞ্চ, রাজৌরি, আখনুরে নিয়ন্ত্রণরেখায় সংঘর্ষ বিরতি লঙ্ঘন করেছে পাকিস্তান। বিনা প্ররোচনায় সীমান্তে গুলি চালিয়ে যাচ্ছে পাকসেনা। পালটা জবাব দিচ্ছে ভারতীয় সেনাও। ভারতের পশ্চিম সীমান্তে পাকিস্তানের আক্রমণ চালিয়ে যাচ্ছে। ভারতীয় সেনাঘাঁটিগুলিকে নিশানা করা হচ্ছে। ড্রোন এবং অন্যান্য মাধ্যমে গোলাবর্ষণ চলছে। অধিকাংশ হামলায় ভারত নিষ্ক্রিয় করেছে। পাকিস্তানের গোলাবর্ষণে ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে আদমপুর, উধমপুর, ভাতিন্ডার মতো কিছু কিছু জায়গায়। শ্রীনগর, অবন্তিপুর, উধমপুরে চিকিৎসাকেন্দ্র, স্কুলগুলিকে নিশানা করেছে পাকিস্তানি সেনা। হাই স্পিড মিসাইল ছোড়া হয়েছে। পঞ্জাবের বায়ুসেনা ঘাঁটিতে রাত ১টা ৪০ মিনিট নাগাদ হামলা চালানোর চেষ্টা করেছে পাকিস্তান। ছোড়া হয় মিসাইল। নিয়ন্ত্রণরেখা এবং আন্তর্জাতিক সীমান্তে সেনা মোতায়েনের সংখ্যা বৃদ্ধি করছে পাকিস্তান। পালটা জবাব দিয়েছে ভারতীয় সেনারাও।’
কর্নেল সোফিয়া আরও জানিয়েছেন, এদিন ভোররাতে পাকিস্তান সেনা ‘হেভি শেলিং’ চালিয়েছে জম্মু ও কাশ্মীরের বিস্তীর্ণ অংশে। পাক গোলার আঘাতে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে জম্মুর শম্ভু মন্দির। পাকিস্তানের হামলায় মৃত্যু হয়েছে রাজৌরির উচ্চপদস্থ সরকারি আধিকারিক-সহ তিন জনের।
এদিন ভারতের বিদেশ সচিব বিক্রম মিসরি জানান, মিথ্যের আশ্রয় নিচ্ছে পাকিস্তান। সেদেশের সংবাদমাধ্যমে পাকিস্তানের তরফে দাবি করা হয়েছে ভারতের বেশ কয়েকটি বায়ুসেনা ঘাঁটি উড়িয়ে দিয়েছে পাকিস্তান। সাইবার হামলা চালানো হয়েছে ভারতের বিদ্যুৎ পরিকাঠামোয়। এমনকি আফগানিস্তানের ওপরেও ভারতের মিসাইল পড়েছে। পাকসেনার এই দাবি গুলো সম্পূর্ণ ভুয়ো। তিনি বলেন, ‘‘কোন দেশ আফগানিস্তানে বার বার হামলা চালিয়ে এসেছে, তা আশা করি সেখানকার মানুষকে মনে করিয়ে দিতে হবে না।’’
এদিকে পাক সংবাদমাধ্যমের দাবি, ভারত হামলা চালিয়েছে পাকিস্তানে। তিনটি পাকিস্তানি এয়ারবেসে ভারতের মিসাইল পড়েছে। তার মধ্যে রয়েছে রাওয়ালপিন্ডির নূর খান, সিন্ধ প্রদেশের সুক্কুর, চাকওয়ালের মুরিদ এয়ারবেস।
