উত্তরবঙ্গ সংবাদ ডিজিটাল ডেস্ক: লাদাখে প্রকৃত নিয়ন্ত্রণরেখা(LAC) বরাবর সেনার টহলদারি নিয়ে ২০২০ সাল থেকে ভারত-চিনের মধ্যে যে সমস্যার সূত্রপাত হয়েছিল অবশেষে তার সমাধান সূত্র মিলতে চলেছে। নয়াদিল্লির তরফে জানানো হয়েছে, যে উভয় দেশই প্রকৃত নিয়ন্ত্রণরেখায় সেনার টহলদারির বিষয়ে একটি ঐক্যমতে পৌঁছেছে। এই যৌথ সিদ্ধান্তের কারণেই সেনা সরানোর প্রক্রিয়াও দ্রুত শুরু হবে বলে জানা গিয়েছে। সোমবার ভারতের বিদেশ সচিব বিক্রম মিসরি(Vikram Misri) একটি বিবৃতি দিয়ে বলেন, ‘গত কয়েক সপ্তাহ ধরে যে আলোচনা চলেছে, সেটার ফলস্বরূপ ভারত-চিন সীমান্তে প্রকৃত নিয়ন্ত্রণরেখায় পেট্রলিং নিয়ে ঐক্যমতে পৌঁছেছে দু’দেশ।’ এই সিদ্ধান্তের ফলে দীর্ঘ ৫ বছর পর লাদাখ সীমান্তে জট কাটার একটি ইঙ্গিত পাওয়া গেল।
ব্রিকস(ব্রাজিল, রাশিয়া, ভারত, চিন এবং দক্ষিণ আফ্রিকা)সম্মেলনে যোগ দিতে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির রাশিয়া সফরের ঠিক একদিন আগেই বিদেশ সচিবের এই বিবৃতি বেশ তাৎপর্যপূর্ণ বলেই মনে করছে রাজনৈতিক মহল। ব্রিকস সম্মেলনের(BRICS Summit) ফাঁকেই চিনা প্রেসিডেন্ট শি জিনপিংয়ের সঙ্গে এই বিষয়ে দ্বিপাক্ষিক বৈঠক করতে পারেন ভারতের প্রধানমন্ত্রী মোদি, এমন খবরও শোনা যাচ্ছে। যদিও এই বিষয়ে কোনও তরফেই সরকারি ভাবে কিছু জানানো হয়নি।
সূত্রের খবর, ডেসপ্যাং এবং ডেমচক এলাকায় টহলদারি নিয়ে ভারত এবং চিন ঐক্যমতে পৌঁছেছে। এই দুটি জায়গা নিয়েই দীর্ঘদিন দু’দেশের মধ্যে সমস্যা তৈরি হয়ে রয়েছে। শেষ পর্যন্ত এই সমস্যা যদি সত্যিই মিটে যায় তবে তা দু’দেশের জন্যই খুবই ইতিবাচক একটি সিদ্ধান্ত হবে। তবে সম্প্রতি টহলদারির জন্য যে ‘বাফার জোন’ তৈরি করা হয়েছে সেটার কী হবে এই ব্যাপারে এখনও স্পস্ট কিছু জানা যায়নি।