উত্তরবঙ্গ সংবাদ ডিজিটাল ডেস্ক: পহেলগাঁওয়ে জঙ্গি হামলার জবাবে পাকিস্তানে ‘অপারেশন সিঁদুর’ চালায় ভারতীয় সেনা। গুঁড়িয়ে দেওয়া হয়েছিল পাকিস্তান ও পাক অধিকৃত কাশ্মীরের ৯টি জঙ্গিঘাঁটি। এরপরই অমৃতসরের স্বর্ণমন্দির (Golden Temple) লক্ষ্য করে ক্ষেপণাস্ত্র ও ড্রোন দিয়ে হামলা চালানোর চেষ্টা করে পাক সেনা (Pakistan Attack)। কিন্তু তা রুখে দেয় আকাশ প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা (Air defence)। সোমবার একথা জানিয়েছেন সেনাবাহিনীর ১৫ নম্বর ইনফ্যান্ট্রি ডিভিশনের জেনারেল অফিসার কমান্ডিং (জিওসি) মেজর জেনারেল কার্তিক সি শেষাদ্রি (Major General Kartik C Seshadri)।
এপ্রসঙ্গে মেজর জেনারেল কার্তিক সি শেষাদ্রি জানান, নাগরিক এলাকা, স্বর্ণ মন্দিরের মতো ধর্মীয় স্থানগুলিকে লক্ষ্য করে পাকিস্তান হামলা চালাতে পারে এমন পূর্বাভাস আগেই পেয়েছিল ভারতীয় সেনাবাহিনী। তিনি বলেন, ‘পাকিস্তানি সেনাবাহিনীর কোনও নির্দিষ্ট লক্ষ্যবস্তু ছিল না। তা জেনেই আমরা মনে করেছিলাম, যে পাক সেনা ভারতীয় সেনাঘাঁটি, ধর্মীয় স্থান সহ নাগরিক এলাকাগুলিকে লক্ষ্যবস্তু করবে। এর মধ্যে স্বর্ণমন্দিরই সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ বলে মনে হয়েছিল আমাদের। তাই স্বর্ণমন্দিরকে আকাশ প্রতিরক্ষা ব্যবস্থার মাধ্যমে সুরক্ষিত ছাতায় ঢেকে ফেলা হয়েছিল।’
তিনি আরও বলেন, ‘৮ মে গভীর রাতে পাকিস্তান ড্রোন, ক্ষেপণাস্ত্র হামলা শুরু করে। ভারতীয় সেনাবাহিনী ওই হামলার জন্য সম্পূর্ণ প্রস্তুত ছিল। আমাদের সাহসী এবং সতর্ক সেনাবাহিনী পাকিস্তানের ঘৃণ্য পরিকল্পনা ব্যর্থ করে দেয়। স্বর্ণমন্দিরকে লক্ষ্য করে ছোড়া সমস্ত ড্রোন এবং ক্ষেপণাস্ত্র গুলি করে নামিয়ে দেওয়া হয়। আমাদের পবিত্র স্বর্ণমন্দিরে একটা আঁচড়ও লাগতে দেওয়া হয়নি।’
আকাশ প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা, এল-৭০ এয়ার ডিফেন্স বন্দুকের মাধ্যমে কীভাবে অমৃতসরের স্বর্ণমন্দির এবং পঞ্জাবের শহরগুলিকে পাকিস্তানি ক্ষেপণাস্ত্র এবং ড্রোন হামলা থেকে রক্ষা করা হয়েছিল, সোমবার তার একটি প্রদর্শনীও দেখিয়েছে ভারতীয় সেনা। মেজর জেনারেল আরও জানান যে, অপারেশন সিঁদুরের সময় সশস্ত্র বাহিনী ‘নির্ভুলতার’ সঙ্গে পাকিস্তানের জঙ্গি সংগঠনগুলির সদর দপ্তর মুরিদকে এবং বাহাওয়ালপুরের মতো এলাকায় আঘাত হেনেছিল।