শুভ্রজ্যোতি রাহা, ডালখোলা: অন্ধকার নামলেই স্কুলের পাশে পরিত্যক্ত পাম্পহাউসে প্রতিনিয়ত বসছে জুয়া ও নেশার আসর। যা নিয়ে এলাকাবাসীর অভিযোগ, স্কুলে একাধিকবার চুরি হলেও নেশার আসর বন্ধে তৎপর নয় প্রশাসন।
ডালখোলা (Dalkhola) পুরসভার ১১ নম্বর ওয়ার্ডে রয়েছে উত্তর ডালখোলা হাইস্কুল। জনবসতি থেকে কিছুটা দূরে স্কুলের পূর্বদিকে চাষের জমি ও নয়ানজুলির পরেই রেললাইন। স্কুলের মূল দরজার পাশে সীমানা প্রাচীর ঘিরে রয়েছে ওই পরিত্যক্ত পাম্পহাউস। সেই ঘরেই বিভিন্ন ধরনের নেশার আসরের পাশাপাশি গভীর রাত পর্যন্ত চলে জুয়া খেলা। এলাকার মানুষের দাবি, একাধিকবার উত্তর ডালখোলা হাইস্কুলে মিড-ডে মিলের বাসন, গ্যাস সিলিন্ডার, টিউবওয়েল, মোটর সহ একাধিক জিনিস চুরি হয়েছে। শুধু তাই নয়, স্কুলে লাগানো ক্লোজ সার্কিট ক্যামেরাও ভেঙে ফেলেছে দুষ্কৃতীরা। স্কুল কর্তৃপক্ষ থানায় চুরির অভিযোগ করেলেও তাতে লাভ কিছুই হয়নি।
স্থানীয় বাসিন্দা শুভম সরকারের অভিযোগ, ‘স্কুলের পাশে বহিরাগতরা এসে নেশা থেকে শুরু করে জুয়া খেলার মতো অসামাজিক করছে। সেখানেই তারা অপরাধের পরিকল্পনা করছে। এলাকায় একাধিক বাড়ি সহ স্কুলেও চুরি হয়েছে, সবটাই পুলিশের জানা। পুলিশ টহলদারি করলেও তা যথেষ্ট নয়। এই অসামাজিক কাজ বন্ধে পুলিশকে তৎপর হতে হবে।’
এ ব্যাপারে উত্তর ডালখোলা হাইস্কুলের ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক রবীন্দ্রনাথ সিংহের বক্তব্য, ‘সন্ধ্যার পর স্কুলের পাশেই বিভিন্ন অসামাজিক কাজ হচ্ছে। স্কুলে সিসি ক্যামেরা বসানো হয়েছিল, কিন্তু তা ভেঙে ফেলা হয়েছে। জলের টিউবওয়েল তিনবার চুরি হয়েছে। স্কুলের নিরপত্তার স্বার্থে নৈশপ্রহরী রাখার ব্যাপারে পরিচালন কমিটিকে জানানো হয়েছিল। কিন্তু আশপাশে জনবসতি না থাকায় কেউ পাহারা দিতে রাজি নয়। আমাদের ধারণা ওই নেশার আসর বন্ধ হলে, তবেই এলাকার অসামাজিক কাজ বন্ধ করা সম্ভব। পুলিশকে বিষয়টি জানিয়েছি।’
এই নিয়ে স্থানীয় কাউন্সিলার গোপাল রায়ের মন্তব্য, ‘শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের পাশে এই ধরনের অসামাজিক কাজ মেনে নেওয়া যায় না। আমি এ ব্যাপারে স্থানীয় পুলিশ প্রশাসনকে এলাকায় পুলিশ পেট্রোলিং বাড়ানোর ব্যাপারে জানিয়েছি।’