উত্তরবঙ্গ সংবাদ ডিজিটাল ডেস্কঃ রুদ্ধশ্বাস ম্যাচে কলকাতা নাইট রাইডার্সকে হারিয়ে দিল চেন্নাই সুপার কিংস। শেষ ওভারে ধোনির সুবিশাল ছক্কায় জিতে গেল সিএসকে। এদিন প্রথমে ব্যাট করে কলকাতা নাইট রাইডার্স ৬ উইকেটে করে ১৭৯ রান। জবাবে ব্যাট করে চেন্নাই ৮ উইকেটে তুলে নেয় প্রয়োজনীয় রান।
ইডেনে এদিন টসে জিতে প্রথমে ব্যাট করার সিদ্ধান্ত নেয় কলকাতা। পাওয়ারপ্লেতে ৬ ওভারে রহমানুল্লা গুরবাজের (১১) উইকেট খুইয়ে ৬৭। সৌজন্যে সুনীল নারায়ণ (২৬) ও অধিনায়ক রাহানের (৪৮) ঝোড়ো ব্যাটিং। রাহানে আউট হওয়ার সময় কেকেআর ১০৩ রানে ৪ উইকেট। মণীশ পাণ্ডে (অপরাজিত ৩৬) চেষ্টা করলেও কেকেআরের পক্ষে দুশো পেরোনো সম্ভব ছিল না। ২০ ওভারে ৬ উইকেট হারিয়ে কলকাতা রান তোলে ১৭৯।
১৮০ রানের লক্ষ্যে এদিন ব্যাট করতে নেমে প্রথমেই মুখ থুবড়ে পরে চেন্নাই। দুই ওপেনার শূন্য রানে আউট হয়ে চাপে পড়ে যায়। কিন্তু অভিষেকে নিজেকে প্রমাণ করলেন উর্বিল প্যাটেল। তিনি ১১ বলে করে ৩১। চারটে ছয়, একটা চার। পাওয়ার প্লে চলতে চলতেই চলে গেল পাঁচ উইকেট। ১০ ওভারে রান উঠল ৯৩। চেন্নাইয়ের জয়ের নেপথ্যে কলকাতার বৈভব অরোরা। তাঁর এক ওভারে ম্যাচের মোর ঘুরে যায়। ১৮০ রান তাড়া করতে নেমে প্লে-অফের মধ্যে পাঁচ উইকেট হারিয়ে ধুঁকতে থাকা একটা দলকে এক ওভারে ৩০ রান দিলেন বৈভব। সতেরোতম ওভারে হর্ষিত রানাকে সোজা ব্যাটে গ্যালারিতে ফেলেন শিবম দুবে। সেই সময় মনে হচ্ছিল ম্যাচটা চেন্নাই পকেটেই পুরে ফেলেছে। কিন্তু আঠেরো নম্বর ওভারে রাসেল মাত্র চার রান দিলেন। শেষ দুই ওভারে বাকি ছিল ১৮। স্লো উইকেটে রানটা তোলা সহজ হবে না বোঝাই যাচ্ছিল। উনিশতম ওভারের তিন নম্বর বলে শুভম দুবে যখন ছক্কা মারলেন মনে হচ্ছিল খেলা শেষ। কিন্তু পরের বলেই কিনা তিনি আউট (৪৫)! দুই বল পরে নুর আহমেদও (২) ফিরলেন। শেষ ওভারে বাকি ছিল ৮ রান। ধোনির শটটা রকেটের মতো বলটাকে ছিটকে দিল মিড উইকেটে। এরপর আর খেলার বিশেষ কিছু ছিল না। রুদ্ধশ্বাস লড়াই দুই উইকেটে জিতে নিল সিএসকে।