কলকাতা: স্বপ্নের উড়ানের রাত। আগামীর লক্ষ্যে এগিয়ে চলার রাত। আর কলকাতা নাইট রাইডার্সকে তাদের ঘরের মাঠে আইপিএলের প্রথম ম্যাচে হারিয়ে যাত্রাপথের শুরুটা দুর্দান্ত করল রয়্যাল চ্যালেঞ্জার্স বেঙ্গালুরু। বিরাট কোহলির রান করার পাশে ফিল সল্টের সঙ্গে তাঁর ওপেনিং জুটি জমে যাওয়া, জোশ হ্যাজেলউডের পাওয়ার প্লে-তে দুরন্ত বোলিং, মাঝের ওভারে বল হাতে বাঁহাতি স্পিনার ক্রুণাল পান্ডিয়ার চমক দেওয়া- আরসিবি শিবিরে প্রথম ম্যাচ থেকে প্রাপ্তির অভাব নেই।
একলাফে অনেকটা বেড়ে যাওয়া আত্মবিশ্বাসের পাশে তৃপ্তির ঢেকুর তুলে আজ সন্ধ্যায় কলকাতা থেকে চেন্নাই পৌঁছে গেলেন বিরাটরা। মহেন্দ্র সিং ধোনির দলের বিরুদ্ধে ২৮ মার্চ রয়েছে ম্যাচ। তার আগে রবিবার দুপুরে কলকাতার এক পাঁচতারা হোটেলে কোহলি, রজত পাতিদাররা হাজির হয়েছিলেন স্পনসরের অনুষ্ঠানে। সেখানে কোহলিদের দারুণ মেজাজে দেখা গিয়েছে। নাইটদের উড়িয়ে দেওয়ার পর গতরাতের ইডেন গার্ডেন্সে আরসিবি-র ব্যাটিং কোচ দীনেশ কার্তিক পুরো দলকে অভিনন্দন জানিয়ে বলেছেন, ‘শুরুটা দুর্দান্ত হল। এবার এগিয়ে চলার চ্যালেঞ্জটা সবাইকে নিতে হবে। পথ চলার এখনও অনেক বাকি।’
কোহলি ও আরসিবি-র আইপিএল ভাগ্য শেষপর্যন্ত কোন পথে যাবে, সময় তার জবাব দেবে। তার আগে গতরাতের ইডেনে ম্যাচ সেরার পুরস্কার পাওয়ার পর ক্রুণাল তাঁর সমালোচকদের একহাত নিয়েছেন। বলেছেন, ‘আমার মধ্যে এখনও যে ক্রিকেট রয়েছে, আশা করি সেটা প্রমাণ করতে পেরেছি। যাঁরা আমায় নিয়ে অনেক কথা বলেছিলেন, তাঁরাও হয়তো এবার বাস্তবটা স্বীকার করবেন।’ ক্রুণালের সমালোচকরা আগামীদিনে কী বলবেন, সময় তার জবাব দেবে। তার আগে ক্রুণালের দলের অজি পেসার হ্যাজেলউড গতরাতে সাংবাদিক সম্মেলনে হাজির হয়ে তাঁর সতীর্থদের স্পিন বোলিংকে প্রশংসায় ভরিয়ে দিয়েছেন।
বলেছেন, ‘ক্রুণাল মাঝের ওভারের সময়ে দারুণ বোলিং করল। কেকেআরের রান আটকে রাখার কাজটা দারুণভাবে করেছে ও।’ ক্রুণালের মতো বল হাতে রাতের ইডেনে নজর কেড়েছেন হ্যাজেলউড নিজেও। ইনিংসের শুরু থেকে লেংথ বোলিংয়ের মাধ্যমে তিনি কুইন্টন ডি কক, সুনীল নারায়ণদের আটকে দিয়েছিলেন। নিজের বোলিং প্রসঙ্গে হ্যাজেলউড বলছেন, ‘ইডেনের পিচে দারুণ বাউন্স ছিল। নির্দিষ্ট লাইনে বোলিং করে সেটাকেই কাজে লাগিয়েছি। ইডেনে বোলিং করতে বরাবরই পছন্দ করি আমি।’ ইডেনের মতো বাইশ গজ ফের কোন ম্যাচে আবার পাবেন, জানেন না হ্যাজেলউড। তাই অজি পেসার বলছেন, ‘আমি পরিবেশ ও পরিস্থিতির সঙ্গে মানিয়ে নিয়ে বোলিং করতে পছন্দ করি। ইডেনেও সেটাই করেছি। উইকেটে এমন বাউন্স থাকলে অনেক পরিকল্পনাই সহজ হয়ে যায়।’ এদিকে, গতরাতের কেকেআর বনাম আরসিবি ম্যাচে ইডেনের গ্যালারিতে মোট ৭ জন দর্শককে কুকুরে কামড় দিয়েছে। আজ সিএবি-র তরফে একথা স্বীকার করে নেওয়া হয়েছে।