কলকাতা: বঞ্চিত বাংলা। বঞ্চিত বাংলার লাখো ক্রীড়াপ্রেমী।
আইপিএল ফাইনাল ও কোয়ালিফায়ার টু দু’দিন আগেই সরে গিয়েছে ইডেন গার্ডেন্স থেকে। ফাইনাল হবে আহমেদাবাদে। তারপর থেকেই কুড়ির ক্রিকেট প্রতিযোগিতার মধ্যে মিশে গিয়েছে রাজনীতির রং।
গতকাল রাতের দিকে বিজেপির রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদার সমাজমাধ্যমে অভিযোগ করেছিলেন, ইডেন থেকে আইপিএল ফাইনাল সরে যাওয়ার নেপথ্যে রয়েছে রাজ্যের বেহাল আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি। পর্যাপ্ত নিরাপত্তার অভাবেই ফাইনাল সরেছে আহমেদাবাদে। আজ বিকেলে নব মহাকরণে কলকাতার নগরপাল মনোজ ভর্মাকে সঙ্গে নিয়ে এব্যাপারে সাংবাদিক সম্মেলন করলেন রাজ্যের ক্রীড়ামন্ত্রী অরূপ বিশ্বাস। তিনি বলেছেন, ‘বাংলা সর্বক্ষেত্রে কেন্দ্রীয় বঞ্চনার শিকার। একশো দিনের কাজ থেকে শুরু করে আবাস যোজনা সহ নানা ক্ষেত্রে এক লক্ষ সাতাশি হাজার কোটি টাকা কেন্দ্রের থেকে এখনও পায় বাংলা। এবার আইপিএল ফাইনাল কলকাতার বদলে আহমেদাবাদে সরিয়ে নিয়ে যাওয়ার পিছনেও এমনই কিছু রয়েছে। বাকিটা আপনারা বুঝে নিন।’
আইপিএল ফাইনাল কলকাতা আয়োজনের ব্যাপারে প্রবলভাবে চেষ্টা করেছিল সিএবি। আসরে নেমেছিলেন প্রাক্তন ভারত অধিনায়ক সৌরভ গঙ্গোপাধ্যায়ও। কিন্তু বাস্তবে লাভ হয়নি। দু’দিন আগে ফাইনাল ইডেন থেকে সরে যাওয়ার সরকারি ঘোষণার পর বাংলা ক্রিকেট সংস্থা অদ্ভুতভাবে নীরব। সভাপতি স্নেহাশিস গঙ্গোপাধ্যায় এব্যাপারে কোনও প্রতিক্রিয়া দেননি। প্রতিবাদও করেননি। আজ সেই প্রতিবাদের পথে হাঁটলেন রাজ্যের ক্রীড়ামন্ত্রী। তাঁর কথায়, ‘জুন মাসের শুরুতে কলকাতায় বৃষ্টি হতে পারে, আবহাওয়া খারাপ থাকবে। এমন অদ্ভুত যুক্তির কথা আমরা শুনেছি। আজ আপনাদের সামনে আবহাওয়া দপ্তরের বার্তা তুলে ধরছি। এখানে স্পষ্টভাবে বলা হয়েছে, এত আগে পূর্বাভাস হয় না। আমার প্রশ্ন হল, ভারতীয় ক্রিকেট কন্ট্রোল বোর্ড ও গভর্নিং কাউন্সিলে যাঁরা রয়েছেন, তাঁরা কি আবহাওয়া বিশেষজ্ঞ? যদি এত আগে থেকেই সব জানা যায়. তাহলে বেঙ্গালুরু, হায়দরাবাদে খেলা কেন বৃষ্টিতে ভেস্তে গেল।’ ইডেনের জলনিকাশি ব্যবস্থা দেশের মধ্যে সেরা বলে জানিয়ে ক্রীড়ামন্ত্রী আরও বলেছেন, ‘দুই ঘণ্টা বৃষ্টি হলেও ইডেনে খেলা শুরু করতে বেশি সময় লাগে না। ইডেনের নিকাশি ব্যবস্থা দেশের সেরা। তাই ইডেনের মতো মাঠ থেকে এভাবে আইপিএল ফাইনাল সরিয়ে নেওয়ার ঘটনা কখনই কাম্য নয়।’ নিরাপত্তা ও আইনশৃঙ্খলা ব্যবস্থা নিয়ে ওঠা অভিযোগও উড়িয়ে দিয়েছেন কলকাতার নগরপাল মনোজ ভর্মা। তিনি বলেছেন, ‘ইডেনে এবার আইপিএলের মোট নয়টি ম্যাচ হওয়ার কথা ছিল। সাতটি হয়েছে সফলভাবে। কোথাও কোনও অভিযোগ নেই।’