উত্তরবঙ্গ সংবাদ ডিজিটাল ডেস্কঃ ভারত-পাকিস্তানের যুদ্ধ আবহে বন্ধ হয়ে গিয়েছে আইপিএল ২০২৫-এর আসর। প্রতিযোগিতার মাঝপথে আইপিএল স্থগিত হয়ে যাওয়ায় বিশাল অংকের আর্থিক ক্ষতির মুখে পড়তে চলেছে ভারতীয় ক্রিকেট। শুধুমাত্র বিসিসিআই নয়, দল-মালিক, খেলোয়াড়, হোস্ট ব্রডকাস্টার, বিভিন্ন ধরণের স্পনসর সকলেই বিপুল ক্ষতির সম্মুখীন হবেন। আর্থিক ক্ষতি হলেও দর্শক খেলোয়াড়দের নিরাপত্তা ও যুদ্ধ আবহে আইপিএলের বিনোদন একেবারেই বেমানান উপলব্ধি করেই আইপিএল আপাতত স্থগিত রাখার সিদ্ধান্ত নিয়েছে ম্যানেজমেন্ট।
এবছর আইপিএলের ১৮তম বর্ষ। ফ্র্যাঞ্চাইজি টি টোয়েন্টি ক্রিকেটের আসরে ১৬টি ম্যাচ এখনও বাকি রয়েছে যার মধ্যে চারটি প্লে-অফও রয়েছে। বর্তমান যুদ্ধ পরিস্থিতিতে আদৌ ম্যাচগুলি করা সম্ভব কি না বা হলেও সেই ম্যাচ গুলি কোথায় হবে তা নিয়ে এখনই ভাবছে না টুর্নামেন্ট পরিচালনা পরিষদ। জানা গিয়েছে, আইপিএল বাতিল হয়ে গেলে ম্যাচ প্রতি ক্ষতির আশঙ্কা রয়েছে আনুমানিক ১০০ থেকে ১২৫ কোটি টাকা। এর বিমা থাকলেও, সম্প্রচার, স্পনসরশিপ ও ম্যাচ-সম্পর্কিত অন্যান্য আয়ের দিক বিবেচনায় সেই ক্ষতির পরিমাণ অর্ধেকের মতো থেকেই যায়। যদি কোনও কারণে টুর্নামেন্ট এখান থেকে বাতিল হয়ে যায়, তাহলে হোস্ট ব্রডকাস্টারদের প্রায় ৫,৫০০ কোটির বিজ্ঞাপন রাজস্বের এক-তৃতীয়াংশ হারাতে হবে। ফ্র্যাঞ্চাইজি দলগুলি প্রত্যেকেই কিছু না কিছু ক্ষতির সম্মুখীন হবে।
আইপিএল ২০২৫ স্থগিত হওয়ায় শুধুমাত্র বিসিসিআই নয় এছাড়াও দল-মালিক, খেলোয়াড়, হোস্ট ব্রডকাস্টার, বিভিন্ন ধরণের স্পনসর সকলেই বিপুল ক্ষতির সম্মুখীন হবেন। এছাড়াও ক্ষতিগ্রস্ত হবেন, স্টেডিয়ামের ভিতরে ও বাইরে থাকা বিক্রেতারা, ক্যাব ও অটোচালকেরা, এমনকি সেই শহরের রেস্তোরাঁ ও পানশালাগুলোও। তবে খেলোয়াড়দের ব্যক্তিগতভাবে তেমন প্রভাব পড়বে না।