অরিন্দম বন্দ্যোপাধ্যায়, কলকাতা: বলা হচ্ছে, সাম্প্রতিককালের ভারতীয় ক্রিকেট প্রশাসনের সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ বৈঠক। যেখানে বহু বিষয়ে আলোচনা ও সিদ্ধান্ত চূড়ান্ত হওয়ার সম্ভাবনা প্রবল।
কিন্তু প্রশ্ন একটাই, শেষ পর্যন্ত বিসিসিআই প্রশাসনের চলতি ডামাডোল মিটবে কি? বিকেলের দিকে বেঙ্গালুরু থেকে বিসিসিআইয়ের এক প্রতিনিধি নাম না লেখার শর্তে উত্তরবঙ্গ সংবাদ-কে বলেন, ‘হাতে সময় বেশি নেই। ১ ডিসেম্বর আইসিসির শীর্ষ পদে জয় শা বসবেন। তার আগে এই এজিএমের মাধ্যমেই আমাদের অনেকগুলি বিষয় চূড়ান্ত করতে হবে।’
বোর্ডের বার্ষিক সাধারণ সভার মোট অ্যাজেন্ডা ১৮টি। কিন্তু সেই অ্যাজেন্ডা নিয়ে ভারতীয় ক্রিকেটমহলের কারও খুব একটা আগ্রহ নেই। মূল আগ্রহের জায়গা হল দুইটি। এক, বর্তমান সচিব জয় আইসিসি চেয়ারম্যান পদে বসে পড়ার পর তাঁর সিংহাসনে কে বসবেন? মজার বিষয়, কৌশলে বিষয়টি অ্যাজেন্ডাতেই রাখা হয়নি। অথচ, বেঙ্গালুরুর যে পাঁচতারা হোটেলে বোর্ডের বার্ষিক সাধারণ সভা হবে রবিবার, সেখানে আজ সারাদিন ধরেই নয়া সচিব নিয়ে নানা আলোচনা হয়েছে। ছড়িয়েছে বিস্তর জল্পনাও। দুই, সৌরভ গঙ্গোপাধ্যায় বিসিসিআই সভাপতি পদ থেকে সরে যাওয়ার পর সচিব জয়ই আইসিসি-তে ভারতের প্রতিনিধিত্ব করে এসেছেন। প্রশ্ন একটাই, তিনি আইসিসি চেয়ারম্যান হয়ে যাওয়ার পর আইসিসি বৈঠকে বিসিসিআইয়ের প্রতিনিধি কে হবেন? বেশ কয়েকটি নাম নিয়ে আলোচনা চলেছে দিনভর। কিন্তু রাত পর্যন্ত চূড়ান্ত কোনও সিদ্ধান্তের খবর নেই।
কয়েকটি বিষয় অবশ্য ইতিমধ্যেই চূড়ান্ত হয়ে গিয়েছে। আইপিএল গভর্নিং কাউন্সিলের প্রতিনিধি হিসেবে অরুণ সিং ধুমল (যাঁর বিসিসিআই সচিব হওয়ার প্রবল সম্ভাবনা) ও অভিষেক ডালমিয়া বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় পদে থেকে যাচ্ছেন। বোর্ডের ক্রিকেটারদের প্রতিনিধি হিসেবে অন্ধ্রপ্রদেশের চামুণ্ডেশ্বরণের থাকার কথাও সামনে এসেছে আজ। কিন্তু খটকা তারপরই। রাতের দিকের খবর, বিসিসিআইয়ের আগামীর সচিব হিসেবে গুজরাটের অনিল প্যাটেল ও দিল্লির রোহন জেটলিও (প্রয়াত অরুণ জেটলির পুত্র) দৌড়ে ঢুকে পড়েছেন। এসবের মধ্যে আজ রাতেই বেঙ্গালুরুতে আইপিএল গভর্নিং কাউন্সিলের বৈঠকও হয়েছে। যেখানে কার্যত দুটো বিষয়ে সিলমোহর পড়ে গিয়েছে। এক, ২০২৫ সালের আইপিএলের মেগা নিলাম দেশের বাইরেই হবে। দুই, দশ ফ্র্যাঞ্চাইজি দলই সর্বাধিক ছয়জনকে ধরে রাখতে পারবে। সেটা রিটেনশনের মাধ্যমে হতে পারে অথবা রাইট টু ম্যাচ কার্ডের মাধ্যমে। এই রিটেনশন বা রাইট টু ম্যাচ কার্ডের সুযোগ নেওয়া যাবে সর্বাধিক পাঁচজন ক্যাপড ক্রিকেটারের (ভারতীয় অথবা বিদেশি) ক্ষেত্রে। আনক্যাপড ক্রিকেটারদের ক্ষেত্রে সর্বাধিক দুইজনকে এভাবে ধরে রাখা যেতে পারে।