আহমেদাবাদ: মিচেল স্টার্ক ম্যাজিক অব্যাহত। রাজস্থান রয়্যালসের বিরুদ্ধে স্টার্কের নিয়ন্ত্রিত বোলিং হারা ম্যাচে জয় এনে দিয়েছে দিল্লি ক্যাপিটালসকে। ম্যাচের শেষ ওভার এবং পরে সুপার ওভারে বুঝিয়ে দিয়েছেন, কেন তিনি বিশ্বের অন্যতম সেরা বোলার। রাজস্থান অধিনায়ক স্বীকার করে নেন স্টার্কের কাছেই কার্যত হেরেছেন তাঁরা। আগুনে বোলিংয়ের যে আত্মবিশ্বাস নিয়ে আগামীকাল ফের বাইশ গজে মিচেল স্টার্ক।
লক্ষ্য এবার গুজরাট টাইটান্স। দিল্লির স্টার্কের জবাবে গুজরাটের ‘মিসাইল’ সেখানে মহম্মদ সিরাজ। জাতীয় দল থেকে বাদ পড়ার পর আইপিএল ঘুরে দাঁড়ানোর মঞ্চ। মঞ্চটাকে কাজেও লাগাচ্ছেন। ছন্দে থাকা দুই দলের যে আকর্ষণীয় টক্করে ভাগ্য অনেকাংশে নির্ভর করবে সিরাজ-স্টার্কের গতির যুদ্ধে।
দিল্লি ক্যাপিটালস (শুক্রবার পাঞ্জাব-রয়্যাল চ্যালেঞ্জার্স বেঙ্গালুরু ম্যাচের আগে পর্যন্ত) ৬ ম্যাচে ১০ পয়েন্ট নিয়ে লিগ টেবিলের শীর্ষে। দিল্লির যে বিজয়রথের মূল কারিগর যদি হন স্টার্ক, তাহলে সহযোদ্ধার তালিকাও বেশ দীর্ঘ। স্পিন বিভাগে অক্ষর প্যাটেল-কুলদীপ যাদব (কাঁধের হালকা সমস্যা রয়েছে) যুগলবন্দি। নবাগত স্পিনার ভিপরাজ নিগমও চমক দিচ্ছেন। স্টার্কের সঙ্গে দিল্লির স্পিন-ত্রয়ী গুজরাট ব্যাটারদের কঠিন পরীক্ষায় ফেলবে।
কুলদীপদের জন্যও থাকছে পালটা চাপ। শুভমান গিল, বিসাই সুদর্শন, জস বাটলার সমৃদ্ধ গুজরাটের টপ অর্ডার অত্যন্ত ধারাবাহিক। সংগ্রহে ৬ ম্যাচে আট পয়েন্টে। আর গোটা চারেক জয় প্লে-অফ অনেকটা নিশ্চিত হয়ে যাবে। কাল ঘরের মাঠে খেলার সুবিধা হাতছাড়া করতে রাজি নন শুভমান ব্রিগেড। দিল্লিকে সাফল্যের রথ ছোটাতে হলে গুজরাটের টপ অর্ডারকে ভাঙতে হবে।
দিল্লির ব্যাটিং বিভাগে নবীন-প্রবীণের সঠিক মিশ্রণ। জেক ফ্রেজার-ম্যাকগ্রাক ও অভিষেক পোড়েলের আনকোরা ওপেনিং জুটি ঝোড়ো শুরু দেওয়ার চেষ্টা করছে। মাঝে ফাফ ডুপ্লেসি, লোকেশ রাহুলরা খেলাটা ধরছেন। গুরুত্বপূর্ণ ম্যাচের আগে দিল্লি শিবিরে আবার জন্মদিনের মেজাজ। শুক্রবার তেত্রিশে পা রাখেন লোকেশ। যাকে ঘিরে ছোটখাটো অনুষ্ঠান টিম হোটেলে।
নরেন্দ্র মোদি স্টেডিয়ামে শনিবার চাইবেন দলের জন্য জন্মদিনের উপহার সাজাতে। দিল্লি ব্যাটিংয়ে গভীরতা বাড়াচ্ছে করুণ নায়ারের দুরন্ত প্রত্যাবর্তন। তফাত গড়ছে অধিনায়ক অক্ষরের অলরাউন্ড পারফরমেন্সও। গুজরাটের ছেলে হওয়ার সুবাদে আহমেদাবাদ অক্ষরের ঘরের মাঠও। প্রথমবার আইপিএলের অধিনায়ক হিসেবে যেখানে খেলতে নামবেন। ফলে সাফল্যের বাড়তি তাগিদ প্রত্যাশিত। শুভমানরা সেখানে হোম অ্যাডভান্টেজ হাতছাড়ায় নারাজ।
সবমিলিয়ে কাল সেয়ানে-সেয়ানে টক্কর, আকর্ষণীয় ম্যাচের হাতছানি। ঘরের ছেলে অক্ষর নাকি ঘরের দলের অধিনায়ক শুভমান, শেষ হাসি কে হাসেন, সেটাই দেখার।