উত্তরবঙ্গ সংবাদ ডিজিটাল ডেস্ক: শুক্রবার ইজরায়েলের (Israel) হামলা শুরুর পর থেকে ইরানে (Iran) মৃত্যু হয়েছে ২২৪ জনের। রবিবার এমনটাই জানিয়েছে ইরানের স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়। মুখপাত্র হোসেইন কেরমানপুর সোশ্যাল মিডিয়ায় জানান, আরও ১,২৭৭ জনকে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। হতাহতের ৯০ শতাংশেরও বেশি নাগরিক বলে দাবি করেছেন তিনি।
ইজরায়েল-ইরান সংঘাত (Iran-Israel Conflict) নিয়ে বর্তমানে মধ্যপ্রাচ্যে যুদ্ধের কালো মেঘ। ফক্স নিউজকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে ইজরায়েলের প্রধানমন্ত্রী বেঞ্জামিন নেতানিয়াহু নিশ্চিত করেছেন, যে ইজরায়েলি বিমান হামলায় ইরানের ইসলামিক রেভোলিউশনারি গার্ড কর্পস (আইআরজিসি) এর গোয়েন্দা প্রধান ব্রিগেডিয়ার জেনারেল মহম্মদ কাজেমি এবং তাঁর ডেপুটি জেনারেল হাসান মোহাকিক নিহত হয়েছেন।
ইজরায়েলের তরফে জানানো হয়েছে, হামলা শুরুর পর থেকে তাদের সীমান্তের মধ্যে ১৪ জন নিহত এবং ৩৯০ জন আহত হয়েছে। ইরান ইজরায়েলে ২৭০টিরও বেশি ক্ষেপণাস্ত্র নিক্ষেপ করেছে। যার মধ্যে কিছু ভবনগুলিতে আঘাত করেছে।
ইজরায়েল অস্ত্র কারখানার কাছাকাছি বসবাসকারী ইরানিদের অবিলম্বে চলে যাওয়ার জন্য সতর্ক করেছে। এদিকে, ইরানের সামরিক বাহিনীও ইজরায়েলিদের ‘অধিকৃত’ এলাকার কাছাকাছি না থাকার জন্য সতর্ক করেছে। ইজরায়েলের প্রধানমন্ত্রী বাত ইয়াম থেকে হুঙ্কার দিয়েছেন, ‘বেসামরিক নাগরিক, নারী ও শিশুদের হত্যার জন্য ইরানকে ভারী মূল্য দিতে হবে।’ ইজরায়েলি বিমান হামলায় কেবল সামরিক ঘাঁটি নয়, ইরানের তেল শোধনাগারগুলিকেও আঘাত করেছে। এছাড়া ইরানের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় ভবনেও হামলা হয়েছে। সরকারি কর্মকর্তা সহ বেশ কয়েকজন কর্মী আহত হয়েছেন। ইরানের রাষ্ট্রপতি মাসুদ পেজেশকিয়ান ইজরায়েলকে সমর্থন করার জন্য মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রকে দায়ী করেছেন। তিনি সতর্ক করেছেন, ইজরায়েলের ‘শত্রুতামূলক কর্মকাণ্ড’ অব্যাহত থাকলে ইরানের প্রতিক্রিয়া আরও তীব্র হবে। ইজরায়েল দাবি করেছে, তাদের হামলার লক্ষ্য ইরানকে পারমাণবিক অস্ত্র তৈরি থেকে বিরত রাখা। তবে এই দাবি অস্বীকার করেছে ইরান।