উত্তরবঙ্গ সংবাদ ডিজিটাল ডেস্ক: কঠোর পোশাক বিধির বিরোধিতা করে (Strict dress code) বিশ্ববিদ্যালয় চত্বরে অর্ধনগ্ন হয়ে প্রতিবাদ জানিয়েছিলেন ইরানের এক তরুণী (Iranian Woman)। সেই ভিডিও সোশ্যাল মিডিয়ায়ও ছড়িয়ে পড়ে। যদিও তার সত্যতা যাচাই করেনি উত্তরবঙ্গ সংবাদ। কিন্তু এই ঘটনার পর জানা যায় ওই তরুনীকে আর খুঁজে পাওয়া যাচ্ছে না। তবে পরবর্তীতে জানা গিয়েছে, তাঁকে গ্রেপ্তার (Arrested) করেছে পুলিশ। ইতিমধ্যেই ওই তরুনীর মুক্তির দাবিতে বিক্ষোভ শুরু হয়েছে ইরানে (Iran)।
তেহরানের ইসলামিক আজাদ বিশ্ববিদ্যালয় চত্বরে অন্তর্বাস পরে ঘোরা ওই ছাত্রীর নিঃশর্ত মুক্তির দাবি তোলা হয়েছে। ইরানের আন্তর্জাতিক অসরকারি সংস্থা অ্যামনেস্টি বিবৃতি দিয়ে তরুণীর মুক্তির দাবি জানিয়েছে। পাশাপাশি পুলিশি হেপাজতে থাকাকালীন যাতে ওই তরুণীর উপর কোনও অত্যাচার না হয়, সেই দাবিও জানানো হয়েছে। কারণ গ্রেপ্তারের সময় ওই তরুণীকে মারধর ও যৌন হেনস্তার কিছু অভিযোগও সামনে এসেছে। সেই অভিযোগগুলিরও নিরপেক্ষ তদন্তের দাবি জানিয়েছে অ্যামনেস্টি। ইতিমধ্যে সামগ্রিক পরিস্থিতির দিকে নজর রাখতে শুরু করেছে রাষ্ট্রপুঞ্জ (UN)। বিশ্ববিদ্যালয়ের পড়ুয়াদের একাংশের দাবি, কঠোর পোশাক বিধির একাই প্রতিবাদ করছিলেন ওই তরুণী। সেই সময় তাঁকে নিরাপত্তারক্ষীরা বাধা দেয় ও পোশাক ছেঁড়ার চেষ্টা করে বলে অভিযোগ। তবে বিশ্ববিদ্যালয় (University) কর্তৃপক্ষের তরফে জানানো হয়েছে, তরুণী মানসিকভাবে অসুস্থ।
প্রসঙ্গত, ইরানে মেয়েরা চাইলেই নিজেদের পছন্দের পোশাক পরতে পারেন না। জারি রয়েছে কিছু ফতোয়া। বাইরে বের হলে হিজাব বাধ্যতামূলক। এমনকি পরতে হবে ঢিলেঢালা পোশাক। তাই কঠোর পোশাক বিধির বিরুদ্ধে প্রতিবাদ জানাতেই বিশ্ববিদ্যালয় চত্বরে অন্তর্বাস পরে হাঁটতে শুরু করেন তরুণী। এই কড়া আইনের বিরোধিতায় বহু বছর ধরেই বিক্ষোভ চলছে ইরানে। এর আগে ২০২২ সালে ঠিক মতো হিজাব না পরার অপরাধে ও হিজাব নিয়ম লঙ্ঘনের অভিযোগে মাহসা আমিনি নামে ২২ বছরের এক তরুণীকে রাস্তা থেকে তুলে নিয়ে গিয়েছিল ইরানের নীতিপুলিশ। কিন্তু পরবর্তীতে পুলিশি হেপাজতে থাকাকালীনই রহস্যজনকভাবে মৃ্ত্যু হয় তাঁর। তা নিয়ে বিক্ষোভে উত্তাল হয়েছিল ইরান। এবারের ঘটনাও সেদিকেই এগোবে কি না, তা নিয়ে যথেষ্ট উদ্বেগ তৈরি হয়েছে।