মালদা: দুলাল সরকার। তিনি মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের (CM Mamata Banerjee) খুব কাছের। নেত্রীর কাছের মানুষ, দলের শীর্ষ নেতৃত্বের অত্যন্ত স্নেহভাজন। তাই তাঁর রাজনৈতিক শ্রীবৃদ্ধি হয়েছে খুব দ্রুত। এই শ্রীবৃদ্ধি কী কাল হল তৃণমূল নেতার জীবনে? দুলালের স্ত্রী চৈতালি সরকারের (Chaitali Sarkar) কথায় তেমন ইঙ্গিত মিলল।
সোমবার সংবাদমাধ্যমের সামনে কান্নাভেজা গলায় চৈতালি সরকার বলেন, ‘এটা কোনও ছোটোখাটো ঘটনা নয়। নৃশংসভাবে একটা মানুষের প্রাণ নেওয়া হয়েছে। এখনও পর্যন্ত অনেককে ধরা হয়েছে। কিন্তু যারা এই ষড়যন্ত্রের আসল মাথা, তাদের ধরার জন্য যে ব্যবস্থা নেওয়ার প্রয়োজন সেটা যেন দিদি করেন। আমি চন্দ্রিমা দির সঙ্গে আরও কিছু আলোচনা করেছি। দিদির কথাতে উনি এসেছেন, ওনার যা জানার ছিল তা উনি শুনেছেন। দিদিকে সেসব জানাবেন। আমার এখানে কাজ শেষ হলে আমিও মুখ্যমন্ত্রীর সঙ্গে দেখা করব।’
এরপর তিনি কোন রাখঢাক না রেখে আরও বলেন, ‘শুনেছিলাম ও চেয়ারম্যান হবে। হয়ত অনেকে ওর এই উন্নতি নিয়ে হিংসা করেছে। ভেবেছে ও মুখ্যমন্ত্রীর কাছের মানুষ হয়ে গিয়েছে। পুলিশ তদন্ত করুক। পারলৌকিক কাজ মিটলে আমি মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সঙ্গে দেখা করব।’
উল্লেখ্য, এদিন সকালে দুলাল সরকারের বাড়িতে যান রাজ্যের অর্থমন্ত্রী চন্দ্রিমা ভট্টাচার্য (Chandrima Bhattacharya)। কথা বলেন চৈতালি সরকার সঙ্গে। রাজ্যের অর্থ প্রতিমন্ত্রীও চেয়েছেন, প্রকৃত খুনি দ্রুত ধরা পড়ুক।