কলকাতাঃ উমার বিদায়ের পর আপামর বাঙালির ভালোবাসার উৎসব কড়া নাড়তে শুরু করে দিল। ঘটি-বাঙালের এই লড়াইয়ে অবশ্য কোনও হানাহানি নয় বরং শুধুই মানুষের আবেগের বিস্ফোরণ রয়েছে। আর এই বড় ম্যাচের জন্য নিজেদের প্রস্তুতি শুরু করে দিয়েছে সবুজ-মেরুন বাহিনীও।
পুজোর চারদিন ছুটির পর আবার কড়া অনুশীলনে ছেলেদের খাটাতে শুরু করেছেন মোহনবাগান সুপার জায়েন্ট হোসে ফ্রান্সিসকো মোলিনা। পুজোর ঠিক আগে মিনি ডার্বিতে তাঁর দল রীতিমতো দাপট দেখিয়ে হারায় মহমেডান স্পোর্টিং ক্লাবকে। কিন্তু স্প্যানিশ কোচ জানেন, আসল ম্যাচে জিততে না পারলে তাঁর প্রতি ক্ষোভ উগড়ে দিতে সময় নেবেন না সমর্থকরা। জানা জেমি ম্যাকলারেনের মতো নবাগত থেকে বিশাল কেইথের মতো গত কয়েক বছরে বহু যুদ্ধের নায়কেরও। অজি স্ট্রাইকারের মন্তব্য, ‘গত মরশুমের ডার্বি েদখেছি। জানি প্রচুর সংখ্যায় মানুষ আসেন এই ম্যাচ দেখতে। এটাই এদেশের সেরা এবং সবথেকে বড় ম্যাচ। এরকম একটা খেলার অংশ হতে পেরে গর্বিত আমি।’
বিশালও বলছেন, ‘টুর্নামেন্টের সেরা ম্যাচ এই ডার্বি। আমরা ম্যাচটার জন্য প্রয়োজনীয় প্রস্তুতি নিচ্ছি। সমর্থকদের কাছে আমার আবেদন, মাঠে আসুন আর আমাদের পাশে থাকুন।’ মনবীর সিং তো বলেই দিলেন, ‘এটাই হল সেরা উৎসব।’ মোহন-জনতার কাছে সুখবর, প্রায় ফিট আলবার্তো রডরিগেজ ও সাহাল আব্দুল সামাদ। ডার্বিতে স্প্যানিশ ডিফেন্ডার তো বটেই, সাহালেরও খেলার সম্ভাবনা রয়েছে বলে খবর। এখনও যুবভারতী ক্রীড়াঙ্গনের ট্রেনিং গ্রাউন্ডেই অনুশীলন করছেন দিমিত্রিস পেত্রাতোসরা। অক্টোবরে এমনিতেই ১৫ দিন বন্ধ থাকে ময়দান। ডার্বির আগে আর মোহনবাগান মাঠে ফেরার কোনও পরিকল্পনা তাদের নেই বলে জানা গেল।
এদিকে, আগামী ২৩ অক্টোবর আল ওয়াখরার বিরুদ্ধে মোহনবাগানের যে ম্যাচ হওয়ার কথা ছিল, তার জন্য এখনও মাঠ ধরে রাখা হয়েছে। যদিও এখনও এএফসি-র কাছ থেকে চিঠির কোনও উত্তর পায়নি তারা। অথচ ইরানের বাকি সব ম্যাচ দুবাই সরিয়ে দেওয়া হয়েছে। স্বাভাবিকভােবই ক্ষুব্ধ মোহনবাগান ম্যানেজমেন্ট। খানিক ক্ষোভ রয়েছে অল ইন্ডিয়া ফুটবল ফেডারেশনের উপরেও। তাদের হয়ে ফেডারেশনের তরফে কোনও উদ্যোগ না নেওয়ায়। ম্যাচের যাবতীয় ব্যবস্থা রাখা হলেও তারা বুঝেই গিয়েছেন যে, এএফসি চ্যাম্পিয়ন্স লিগ টুয়ে খেলার আর কোনও সম্ভাবনা তাদের নেই।