গুয়াহাটি: এত নিরুত্তাপ ডার্বি কে কবে দেখেছে? আইএসএল দূরের কথা, অন্য কোনও শহরের অন্য কোনও টুর্নামেন্টেও ইস্টবেঙ্গল-মোহনবাগান সুপার জায়েন্ট মুখোমুখি হলে যে হইচই ব্যাপার শুরু হয়ে যায়, তার ছিটেফোঁটাও নেই এদিন গুয়াহাটিতে। বা বলা ভালো, ইন্দিরা গান্ধি অ্যাথলেটিক্স স্টেডিয়ামের আশপাশ জুড়ে শনিবারের আসন্ন ডার্বির কোনও চিহ্নমাত্র নেই। এদিনের নর্থইস্ট ইউনাইটেড এফসি ও পাঞ্জাব এফসি ম্যাচ শেষ হওয়ার পরই বেশি রাতে স্টেডিয়ামের দখল পাওয়ার কথা মোহনবাগান সুপার জায়েন্টের। তারপর রাতভর যুদ্ধকালীন তৎপরতায় নিজেদের হোম ম্যাচের মতো করে তাদের সাজিয়ে নিতে হবে এই স্টেডিয়ামকে। এদিন অফলাইন টিকিট বিক্রি করা সম্ভব হয়নি মোহনবাগানের পক্ষে। কারণ নর্থইস্টের হোম ম্যাচ ছিল বলে স্টেডিয়ামের বক্স অফিস তাদের হাতে ছিল। ফলে শনিবার সকাল থেকেই একমাত্র অফলাইন টিকিট বিক্রি করা সম্ভব হবে।
তবে মোহনবাগান ও ইস্টবেঙ্গল সমর্থকরা আসতে শুরু করেছেন। পল্টন বাজার এলাকায় হোটেলের খোঁজ চলছে, এমন খবরই দিচ্ছেন স্থানীয় মানুষজন। একজন বলছিলেন, ‘ম্যাচটার জন্য শিলং ও শিলচর েথকে কতজন বাঙালি আসেন সেটাই েদখার। নাহলে মাঠ ভরানোর দায়িত্ব আপনাদের ওখানকার সমর্থকদেরই নিতে হবে। এখানে মানুষ নর্থইস্ট ছাড়া আর কাউকে নিয়ে আগ্রহী নয়।’ অর্থাৎ দুই দল মিলিয়ে অন্তত হাজার দশেক সমর্থক না এলে বিবর্ণ লাগতে পারে লিগের সেরা ম্যাচের গ্যালারি।