উত্তরবঙ্গ সংবাদ ডিজিটাল ডেস্ক: লস্কর-ই-তৈবাকে নিষিদ্ধ ঘোষণা করল ইজরায়েল। মঙ্গলবার এক বিবৃতি জারি করে সেদেশের তরফে বলা হয়েছে, শয়ে শয়ে ভারতীয়কে হত্যার নেপথ্যে রয়েছে এই জঙ্গি সংগঠন। তাই লস্করকে নিষিদ্ধ জঙ্গি গোষ্ঠীর তালিকাভুক্ত করা হল।
মুম্বইয়ে ভয়াবহ জঙ্গি হামলার ১৫তম বর্ষপূর্তির আগেই এই পদক্ষেপ ভারতের ‘বন্ধু’ ইজরায়েলের। এদিন ভারতের ইজরায়েলি দূতাবাস থেকে বিবৃতি দিয়ে বলা হয়েছে, ‘ইজরায়েলের প্রতিরক্ষা ও বিদেশমন্ত্রীরা যৌথভাবে কাজ করেছেন, যেন দ্রুত লস্করকে নিষিদ্ধ তালিকাভুক্ত করা যায়। আন্তর্জাতিক ক্ষেত্রে সন্ত্রাসবাদের মোকাবিলা করতে সকলের একজোট হওয়া দরকার, এই বিষয়টিও তুলে ধরতে চায় বেঞ্জামিন নেতানিয়াহুর প্রশাসন।
২৬/১১ হামলার কথা উল্লেখ করে বিবৃতিতে বলা হয়েছে, ‘লস্কর-ই-তৈবা মারাত্মক জঙ্গি সংগঠন। শয়ে শয়ে ভারতীয়কে হত্যার নেপথ্যে রয়েছে তারা। ২০০৮ সালের ২৬ নভেম্বর তাদের ঘৃণ্য হামলা এখনও সকলের স্মৃতিতে টাটকা।’ মুম্বই হামলায় নিহতদের পরিবারের প্রতি সমবেদনাও জানিয়েছে ইজরায়েল।
ইজরায়েলের এই পদক্ষেপের পর অনেকেই মনে করছে, এবার হামাস প্রসঙ্গে ভারতের অবস্থান নিয়ে আলোচনা হতে পারে। গাজায় ইজরায়েল-হামাস সংঘর্ষ শুরু হওয়ার পরেই ভারতে নিযুক্ত ইজরায়েলের রাষ্ট্রদূত আবেদন জানান, এবার হামাসকে নিষিদ্ধ তকমা দিক নয়াদিল্লি। হামাসের হামলার নিন্দা করলেও নিষিদ্ধ করার প্রসঙ্গে এখনও কোনও পদক্ষেপ করেনি ভারত। তবে ইজরায়েলের বিবৃতির পরে এই বিষয়টি নিয়ে ভারত ভেবে দেখবে কি না, সেদিকেই নজর ওয়াকিবহাল মহলের।