প্রসেনজিৎ দাশগুপ্ত, নয়াদিল্লি: বিরোধীরা একজোট হলে বিজেপিকে ২০২৩-এই হারানো সম্ভব! শুনতে অভাবনীয় মনে হলেও মঙ্গলবার আপ সুপ্রিমো অরবিন্দ কেজরিওয়াল, পঞ্জাব মুখ্যমন্ত্রী ভগবন্ত মান ও আপ মুখপাত্র রাঘব চাড্ডার সঙ্গে নবান্নের শীর্ষ বৈঠকে এমনই চাঞ্চল্যকর দাবি করলেন তৃণমূলনেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।
সুপ্রিম কোর্টের সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে গিয়ে রাতারাতি অধ্যাদেশ জারি করে রাজধানী দিল্লির শাসনভার পুনরায় নিজেদের কুক্ষিগত করেছে মোদি সরকার। আপ সহ অন্য বিরোধীদের আশঙ্কা, আসন্ন বাদল অধিবেশনে অধ্যাদেশটিকে বিলে পর্যবসিত করে সংসদের উভয় কক্ষে পাস করানোর চেষ্টা চালাবে বিজেপি। তাদের এই পরিকল্পনা কীভাবে রোখা যায়, সে নিয়ে বিরোধী ঐক্যমত্য গঠন করার প্রক্রিয়ায় মঙ্গলবার নবান্নে এসে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সঙ্গে বৈঠকে বসেন আপ নেতা অরবিন্দ কেজরিওয়াল। দলীয় সূত্রের দাবি, সে বৈঠকেই বিজেপিকে উচ্চতর কক্ষে রুখে দেওয়ার জন্য উপায় বাতলেছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।
অধ্যাদেশ সংক্রান্ত বিষয়ে রাজ্যসভায় নিয়ে আসা বিলকে প্রতিহত করা যায় কীভাবে? সেই ব্যাখ্যা দিতে গিয়েই একথা বলেছেন মুখ্যমন্ত্রী। তাঁর দাবি, রাজ্যসভায় সরকারপক্ষ সংখ্যাগরিষ্ঠ নয়৷ রাজ্যসভার সদস্য সংখ্যা ২৫০, বর্তমানে সদস্য আছেন ২৩৮ জন। এর মধ্যে বিরোধী ও শাসক দলের সমীকরণ প্রায় অর্ধেক অর্থাৎ ১১৯-১২০৷ বিরোধী পরিসংখ্যান জানাচ্ছে, রাজ্যসভায় কংগ্রেসের আসন- ৩১, তৃণমূল- ১৩, আপ- ১০, ডিএমকে-১০, বিআরএস-০৭, আরজেডি- ৬, জেডিইউ-৫, সিপিএম- ৫, এনসিপি- ৪- দুজন নির্দল, মোট ১০৬ মোট৷ এই সমীকরণে নবীন পট্টনায়েকের দল বিজেডি এবং জগন রেড্ডির ওয়াইএসআরকে সঙ্গে নিতে মরিয়া বিরোধীরা৷ রাজ্যসভায় ওয়াইএসআর(কং) এর আসন ৯, বিজেডি ৭টি৷ অর্থাৎ এই দুটি সরকার ঘনিষ্ঠ দলকে যদি পাশে টানা যায়, তবে অংকের হিসেবে বিজেপিকে টেক্কা দেওয়া সম্ভব।