রণবীর দেব অধিকারী, ইটাহার: প্রথমে আলাপ, তারপর প্রেম। এরপর বিয়ের প্রতিশ্রুতি দিয়ে টানা তিন বছর ধরে এক নাবালিকার সঙ্গে একাধিকবার সহবাস করেও বিয়েতে গররাজি। এই অভিযোগ ঘিরে চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে ইটাহার থানার দুই গ্রামে। নির্যাতিতা কিশোরীর বাবার লিখিত অভিযোগের ভিত্তিতে পকসো আইনে মামলা রুজু করে অভিযুক্তকে গ্রেপ্তার করেছে ইটাহার থানার পুলিশ।
কিশোরীর পরিবারের সদস্যরা জানিয়েছেন, বছর তিনেক আগে প্রায় ছ’কিলোমিটার দূরের একটি গ্রামের এক তরুণ নানা প্রলোভন দেখিয়ে তাঁদের মেয়ের সঙ্গে আলাপ জমিয়ে প্রেমের প্রস্তাব দেয়। অল্পদিনে তাদের সম্পর্ক গভীর হয়ে ওঠে। ওই তরুণ তাঁদের মেয়েকে বিয়ের প্রতিশ্রতিও দেয়। এরপর বিভিন্ন সময় বিভিন্ন জায়গায় ঘুরতে নিয়ে যাওয়ার নাম করে মেয়ের সঙ্গে সে শারীরিক সম্পর্ক করে। মেয়ে বারবার ওই তরুণকে বিয়ে করার কথা বললেও সে নানা কারণ দেখিয়ে টালবাহানা করছিল।
নির্যাতিতার বাবা বলেন, ‘আমার নাবালিকা মেয়েকে প্রেমের জালে ফাঁসিয়ে বিয়ের প্রতিশ্রুতি দিয়ে ওই তরুণ একাধিকবার শারীরিক সম্পর্ক করেছে। কিন্তু পরবর্তীতে বারবার বিয়ের কথা বলা হলেও সে নানা অজুহাত দেখিয়ে বিয়ের বিষয়টি এড়িয়ে যাচ্ছিল। এখন শুনছি, ওই ছেলের অভিভাবকরা তার অন্যত্র বিয়ের ব্যবস্থা করছেন।’
অভিযোগ, গত মঙ্গলবার ওই তরুণ বিয়ে করবে বলে ওই কিশোরীকে তার বাড়িতে ফের ডেকে পাঠায়। প্রেমিকের ডাকে সাড়া দিয়ে সেদিন সন্ধেয় একাদশের ওই ছাত্রী তার বাড়িতে গেলেও তাকে বাড়িতে ঢুকতে দেওয়া হয়নি। এদিকে প্রেমিক তরুণও বেপাত্তা হয়ে যায়। এরপরেই মেয়েকে সেখান থেকে নিয়ে এসে ইটাহার থানায় লিখিত অভিযোগ দায়ের করেন কিশোরীর বাবা।
এদিকে, এই ঘটনায় সমাজ মাধ্যমে সম্পর্কে জড়িয়ে পড়া এবং তার ভয়াবহ পরিণতি নিয়ে সচেতনতার প্রয়োজন বলে মনে করছেন বিশেষজ্ঞরা। ছাত্রছাত্রীদের এই বিষয়গুলি নিয়ে আরও সর্তক থাকা প্রয়োজন বলে মত শিক্ষকদের একাংেশর।