উত্তরবঙ্গ সংবাদ ডিজিটাল ডেস্ক: বেপরোয়া গতির পোর্শে গাড়ির ধাক্কায় দুই বাইক আরোহীর মৃত্যুতে অভিযুক্ত নাবালকের জামিনের ঘটনায় ইতিমধ্যেই উত্তাল গোটা মহারাষ্ট্র। অভিযুক্তের উপযুক্ত শাস্তির দাবিতে সরব হয়েছেন বিরোধীরা। এরই মাঝে নতুন অভিযোগ, ওই নাবালককে আটক করে থানায় নিয়ে গিয়ে পিৎজা, বার্গার খাইয়েছিল পুলিশ। রবিবার মধ্যরাতে পুনেতে (Pune) মদ্যপ অবস্থায় গাড়ি চালানোর সময় একটি বাইকে ধাক্কা মারে ওই নাবালক। ঘটনাস্থলেই মারা যান দুই বাইক আরোহী অনীশ অবধিয়া ও অশ্বিনী কোস্টা। ঘটনার ১৪ ঘণ্টার মধ্যেই একাধিক শর্তে ১৭ বছরের ওই নাবালককে জামিন দেয় জুভেনাইল আদালত (Juvenile Court)।
তবে পরবর্তীতে সমালোচনার মুখে পড়ে অভিযুক্ত নাবালকের বাবা ইমারত ব্যবসায়ী বিশাল আগরওয়ালকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। পাশাপাশি যে দু’টি পানশালা থেকে সে যে মদ্যপান করেছিল সেখানকার মালিককেও গ্রেপ্তার করা হয়েছে। পুনের পুলিশ কমিশনারকে বরখাস্তের দাবি তুলেছেন শিবসেনা নেতা সঞ্জয় রাউত। তিনি অভিযোগ করে বলেন, ‘দুজনের প্রাণ নেওয়ার পরও পুনের পুলিশ ওই ধনীর ছেলেকে সাহায্য করতে ব্যস্ত ছিল। তাকে পিৎজ়া এবং বার্গার পরিবেশন করা হয়েছে কীসের জন্য? ভিডিওতে প্রকাশ্যে এসেছে যে ছেলেটি মদ্যপ অবস্থায় ছিল। সত্যিটা জানা সত্ত্বেও পুলিশ এখনও তাকে সাহায্য করে চলেছে।’ এমনকি পুলিশ কমিশনার বরখাস্ত না হলে মানুষ রাস্তায় নামতে বাধ্য হবেন বলেও হুঁশিয়ারি দিয়েছেন সঞ্জয়।
অন্যদিকে মৃতদের পরিবারের দাবি, এটা কোনও দুর্ঘটনা নয়, খুন করা হয়েছে অনীশ ও অশ্বিনীকে। এমনকি ওই গাড়ির কোনও রেজিস্ট্রেশনই ছিল না বলে অভিযোগ। তাঁরা অভিযুক্তের জামিন বাতিলের পাশাপাশি তার শাস্তির দাবি জানিয়েছেন।