শীতলকুচি: শুক্রবার দিনের আলো ফুটতেই হাজারও কণ্ঠের আর্তনাদে ঘুম ভাঙল কোচবিহারের শীতলকুচি ব্লকের পাঠানটুলি গ্রামের কাশিয়ার বারোনি এলাকার বাসিন্দাদের। পাঠানটুলি গ্রাম ঘেঁষেই রয়েছে ভারত-বাংলাদেশ সীমান্ত। আর এই সীমান্তের কাঁটাতারের বেড়ার ওপারে গোতামারি গ্রামে বাসন্তী মন্দিরের পাশে জমায়েত হন প্রায় হাজার দুয়েক বাংলাদেশের(Bangladesh) নাগরিক। সেখান থেকে খর্প নদীর হাঁটু জল পেরিয়ে ভারতের সীমান্তে ঢুকতে চেষ্টা করেন তাঁরা। মুখে ছিল ‘জয় শ্রীরাম’, ‘ভারত মাতা কি জয়’ ‘শেখ হাসিনা জিন্দাবাদ’ স্লোগান। অনেককেই বলতে শোনা যায়, ‘বাংলাদেশের হিন্দুরা বাঁচতে চাই, তাই ভারতে আশ্রয় চাই’।
দিনভর রোদ বৃষ্টিতে দাঁড়িয়ে আশ্রয়ের আর্জি জানাতে থাকেন তাঁরা। খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে আসেন বিজিবির আধিকারিকরা। এদিকে নিরাপত্তা খতিয়ে দেখতে বিএসএফের গোপালপুরের ডিআইজি কে বি যাদব, শীতলকুচির বিডিও সোফিয়া আব্বাস, মাথাভাঙ্গার এসডিপিও সমরেন হালদার, শীতলকুচি(Shitalkuchi) থানার ওসি অ্যান্থনি হোড়ো সহ বিশাল পুলিশ বাহিনী পাঠানটুলি গ্রামে পৌঁছোয়। খবর ছড়িয়ে পড়তে অনেক ভারতীয় বাসিন্দাও ভিড় করেন পাঠানটুলি গ্রামে। বিএসএফের তরফে জানানো হয়, এদিন বাংলাদেশের বাসিন্দাদের অনুপ্রবেশ ঠেকানো হয়েছে। তাঁরা যাতে নিজেদের দেশে ফিরে যায় এরজন্য বিএসএফের উদ্যোগে বিজিবির সঙ্গে যোগাযোগ করা হয়। এদিনের এই ঘটনার ফলে পাঠানটুলি গ্রামের কয়েকশ কৃষক নিজের জমিতে কাজ করতে পারেননি। গ্রামের কৃষক গিরিশ বর্মনের কথায়, ’সকালে জমিতে কাজ করতে যেতে দেয় বিএসএফ। কিন্তু বাংলাদেশিরা অনুপ্রবেশের চেষ্টা করলে আমাদের নিরাপত্তার জন্য সেখান থেকে বের করে নিয়ে আসা হয়।‘ এদিন বিকেলে বাংলাদেশের সেনাবাহিনীর তরফে মাইকে প্রচার করে নিরাপত্তার আশ্বাস দেওয়া হলে বাংলাদেশিরা বাড়ি ফিরে যেতে থাকেন।