মালবাজার: বর্ষা নামার আগে ঝোড়ো ব্যাটিং করছে গরম। তবে পালটা স্বস্তির আবহ ফিরিয়ে দিচ্ছে পাহাড়ও। একদিকে যখন ৩৫ বছরের তাপমাত্রার রেকর্ড ভাঙছে জলপাইগুড়ি তখন স্বস্তির বৃষ্টিতে পথঘাট ভিজে উঠছে গরুবাথান-লাভা এলাকায়। ১৯৮৮ সালে জুন মাসে একবারই মাত্র জলপাইগুড়ির দিনের তাপমাত্রা ৩৮ দশমিক ৯ ডিগ্রি রেকর্ড হয়েছিল। ৩৫ বছর পর বুধবার জলপাইগুড়ির জুন মাসের তাপমাত্রা ৩৮ দশমিক ৬ ডিগ্রি হল। আবহাওয়া বিভাগ সূত্রে প্রাপ্ত তথ্য থেকে স্পষ্ট, জলপাইগুড়ি জেলা এদিন কার্যত তাপমাত্রায় রেকর্ড ছোঁয়ার কাছাকাছি পৌঁছে যায়।
অন্যদিকে, ডুয়ার্স লাগোয়া পাহাড়ের লাভা, পাপড়খেতি, দারাগাঁও, তুংসুঙয়ের মতো এলাকাগুলি বুধবার দুপুরে বৃষ্টির পরশ পেয়েছে। স্বল্প বৃষ্টিতে কিছুটা স্বস্তিও মিলেছে। এমনিতে গরমে সমতলের সঙ্গে পাল্লা দিয়ে তাতছিল পাহাড়ও। অস্বস্তির ছবি ধরা পড়েছিল সেখানেও। তবে এদিনের বৃষ্টি নিঃসন্দেহে পাহাড়ে থাকা পর্যটকদের মধ্যে স্বস্তি ফিরিয়েছে। এদিন দুপুর দেড়টা নাগাদ পাহাড়ের বিভিন্ন এলাকাতে মেঘের আনাগোনা শুরু হয়। বিকেল নাগাদ অল্প কিছুক্ষণের জন্য বৃষ্টি হয়। আর তাতেই বেজায় স্বস্তি। লাভা বাজারের ব্যবসায়ী পাশাং শেরপা জানান, দুপুরের বৃষ্টি সকলেই উপভোগ করেছেন।
এদিকে আবহাওয়া বিভাগও অবশ্য স্বস্তির বার্তা দিয়েছে। কেন্দ্রীয় আবহাওয়া বিভাগের সিকিমের অধিকর্তা গোপীনাথ রাহা জানান, উত্তর থেকে দক্ষিণে নিম্নচাপ অক্ষরেখা তৈরি হচ্ছে। যা বঙ্গোপসাগর থেকে জলীয় বাষ্প টেনে আনবে। শনিবার সন্ধ্যার পর বিভিন্ন এলাকাতে বিক্ষিপ্তভাবে বৃষ্টি শুরু হয়ে যাওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। রবিবার ভালো বৃষ্টির পূর্বাভাস রয়েছে।