অনীক চৌধুরী, জলপাইগুড়ি: পুজোর বাজার (Durga Puja Shopping) মানে কি শুধু বড়দেরই ব্যাপার? একদমই নয়। এখন থেকেই কে কোন ড্রেসটা পরবে কিংবা আর ক’টা নতুন জামাকাপড় হবে তা নিয়ে যথেষ্টই সচেতন পরিবারের খুদে সদস্যরা। তাদের মনের কথা বুঝে তাই আগেভাগেই নতুন সম্ভার নিয়ে তাদের মন জয় করতে প্রস্তুত জলপাইগুড়ি (Jalpaiguri) শহরের ব্যবসায়ীরা। খুদে মেয়েদের প্রথম ক্রাশ বার্বি ডল। গত দু’বছর ধরেই সিনেমার পর্দার বার্বি ড্রেস ছোটদের ফ্যাশনে জায়গা করে নিয়েছে বলে জানালেন ব্যবসায়ী শুভদীপ রায়। তাঁর কথায়, ‘বার্বির গোলাপি, হলুদ বা হালকা নীল রঙের জামার কালেকশনই মন কাড়ছে খুদে ও তাদের অভিভাবকদের। ছেলেদের জন্যও একই ধরনের জামা এবং প্যান্টের সেটের চাহিদা এবছর বেড়েছে।’
এছাড়াও ছোট মেয়েদের পাফড হাতা টপ বা ফ্রক খুঁজছেন মায়েরা বলে জানালেন শপিং মলে বহুজাতিক সংস্থার কর্মীরা। স্লিভলেস প্রিন্টেড টপ এবছর খুবই জনপ্রিয় হয়েছে বলেও জানান তাঁরা। শিশুদের ফ্যাশনে বিগত কয়েক বছর ধরে কোঅর্ড সেটের খুব চাহিদা। এ বছরেও শপিং মল এবং সাধারণ দোকানে এই কোঅর্ড জামার বিক্রির রমরমা। প্রতি বছর আগের চেয়ে বেশি আধুনিক এবং রংচঙে সেট জলপাইগুড়ির বাজার কাঁপাচ্ছে। শহরের ব্যবসায়ী রাজেশ্বর শা বললেন, ‘এবার ডাংরি, সারারা, নায়রা, কাফতান মেরি, চিকনকারি, পপকর্ন ড্রেস এসেছে। এগুলোর দামও ২৫০-১১০০ টাকার মধ্যেই। তাই এগুলোর চাহিদাও বেশি।’
ছোটদের ফ্যাশনে বহু বছর ধরেই নিজের জায়গা দখল করে রেখেছে বাবা স্যুট। এবছরও সেই চাহিদা বর্তমান বলে জানালেন সুদীপ জানা। পাশাপাশি, অষ্টমীর জন্য ছোট ছেলেদের জন্য ধুতি-পাঞ্জাবি, শেরওয়ানি বা কুর্তা কিনছেন অভিভাবকরা বলে খবর দিলেন তিনি। খুদে মেয়েদের জন্য মা-বাবারা লেহেঙ্গা এবং শাড়ির প্রতি ঝুঁকছেন বলেও জানালেন তিনি।
ব্যবসায়ী রাজেশ আগারওয়াল বলেন, ‘প্রতিবার যা জামাকাপড় আসে তার থেকে একটু ডিজাইনের পার্থক্য এবার। ফ্রক, মিডি, প্যান্ট, শার্ট সবেতেই রয়েছে নতুনত্বের ছোঁয়া। দামও সকলের সাধ্যের মধ্যে।’ বড়দের পাশাপাশি শিশুদেরও চেক শার্ট বেশ মানায়। হাফ জিন্স এবং চেক শার্ট বা ফুল জিন্সেও এবছর বড়দের টেক্কা দেবে শিশুরা। জিন্সের পাশাপাশি কার্গোর প্রতিও ঝুঁকছেন অনেক অভিভাবকরা। এমনকি মেয়েদের জন্যও জলপাইগুড়ির বিভিন্ন দোকানে এসেছে ফ্যাশনেবল জিন্স, প্যান্ট এবং পালাজো।
ছেলে বা মেয়ে, জামার ক্ষেত্রে বিচ শার্ট অর্থাৎ ফুলছাপ জামাকাপড় কেনাকাটা বেশ ভালোই। এছাড়াও ঠান্ডার কথা মাথায় রেখে সোয়েট শার্ট কিনছেন অনেকেই। খুদে প্রিয়াংশীর মা সপ্তপর্ণা বসু বললেন, ‘ফ্যাশনেবল জামা তো ঠিক আছে কিন্তু পুজোর রাতে শীতের কথাটাও বাজার করার সময় মাথায় রাখছি। সকালের দিকে হালকা ধরনের জামা পরালেও রাতের ঠান্ডা থেকে বাঁচাতে একটু ভারী জামাও কিনে নিচ্ছি। পুজোর দিনে নো রিস্ক।’