নাগরাকাটা: খাঁচায় আটকা পড়েও পালিয়ে গেল চিতাবাঘ (Leopard)! সোমবার সকালে ঘটনাটি ঘটেছে জলপাইগুড়ি (Jalpaiguri) জেলার বানারহাটের (Banarhat) আমবাড়ি চা বাগানে। বন দপ্তর সূত্রে জানা গিয়েছে, ২০১২ সালে লাগানো চা গাছের ১০ নম্বর সেকশনে দীর্ঘদিন ধরে একটি খাঁচা পেতে রাখা হয়েছিল। রবিবার ভোরে তাতে একটি চিতা বাঘ বন্দি হয়। ধূর্ত বুনোটি অবশ্য অত সহজে হাল ছাড়তে নারাজ ছিল। খাঁচার বন্ধ স্লাইডিং দরজার সামান্য ফাঁককে কাজে লাগিয়ে চম্পট দেয়। সেই সময় সামনে দাঁড়িয়ে ছিলেন চঞ্চল দাস নামে বাগানের এক পাহারাদার। তাঁকে জখম করে চিতাবাঘটি সেখান থেকে পালিয়ে যায়। বর্তমানে ওই ব্যক্তি বীরপাড়া স্টেট জেনারেল হাসপাতালে চিকিৎসাধীন। তাঁর বুকে অল্প আঘাত লেগেছে বলে জানা যাচ্ছে। এদিকে, যে ছাগলের টোপে চিতাবাঘটি খাঁচায় বন্দি হয়, পালানোর আগে সেই ছাগলের একটি কানের একাংশ খেয়ে ফেলে বুনোটি। ঘটনার খবর পেয়েই সেখানে যান বন দপ্তরের বন্যপ্রাণ শাখার বিন্নাগুড়ির রেঞ্জার হিমাদ্রি দেবনাথ, ডায়না রেঞ্জের অশেষ পাল সহ অন্য বনকর্মীরা। স্থানীয়দের নিয়ে একটি সচেতনতা শিবিরের আয়োজন করা হয়।
অন্যদিকে, ধরা পড়েও চিতাবাঘটি পালিয়ে যাওয়ার ঘটনায় আতঙ্ক ছড়িয়েছে বাগানটিতে (Ambari Tea Estate)। সন্তোষ মিশ্র নামে এক বাসিন্দা বলেন, ‘এখানে প্রায় প্রতিটি সেকশনেই চিতাবাঘ রয়েছে। এদিনের ঘটনার পর সবাই ভয়ে আছে।’ পবন ঠাকুর নামে আরেক বাসিন্দা বলছেন, ‘খাঁচার দরজার সামান্য ফাঁককে কাজে লাগিয়ে চিতাবাঘ যে এভাবেও পালাতে পারে তা কল্পনাতেও ভাবিনি। বন দপ্তর সূত্রে জানা গিয়েছে, মাস দুয়েক আগে লক্ষ্মীপাড়া চা বাগানে একটি চিতাবাঘ খাঁচার ভেতরে না ঢুকেও বাইরে থেকে টোপ হিসেবে রেখে দেওয়া ছাগলকে সাবাড় করেছিল। তাতে অবশ্য শেষরক্ষা হয়নি। অন্যদিন ওই চিতাবাঘটি খাঁচাবন্দি হয়।