শুভদীপ শর্মা, লাটাগুড়ি: তার মুড কখন কেমন বোঝা যাচ্ছে না। কখনও সে শান্ত, কখনও আবার অশান্ত। একদিন রাস্তার উপর ঠায় দাঁড়িয়ে থাকছে। পরেই আবার চলন্ত বাইক বা গাড়িকে তাড়া করছে। দিনকয়েক ধরে লাটাগুড়ি এবং গরুমারা জঙ্গলের মাঝে দাঁতালটি (Elephant) আতঙ্কের কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছে। শুক্রবার একাধিকবার জাতীয় সড়কে উঠে পড়ে দাঁতালটি। প্রত্যেকবার সেটিকে জঙ্গলে পাঠান বন দপ্তরের পাশাপাশি ‘ট্যুরিস্ট বন্ধু’র বিশেষ দায়িত্বে থাকা পুলিশকর্মীরা।
জলপাইগুড়ির (Jalpaiguri News) লাটাগুড়ি-চালসাগামী ৩১ নম্বর জাতীয় সড়কের (Nationahl Highway) দু’পাশে রয়েছে লাটাগুড়ি এবং গরুমারার জঙ্গল। জঙ্গলের এই পথে মাঝেমধ্যে হাতির পালকে চলাচল করতে দেখা যায়। গত সপ্তাহখানেক ধরে জাতীয় সড়কের এই রাস্তায় দাঁড়িয়ে থাকতে দেখা যাচ্ছে একটি দাঁতাল হাতিকে। ‘মুডি’ বুনোটির কখন কী মনে হয়, বোঝা দায়। কখনও সেটি ঠায় দাঁড়িয়ে থাকছে রাস্তার ওপর। কখনও আবার গাড়ি বা বাইক দেখে তেড়ে যাচ্ছে।
গত মঙ্গলবার বিকেলে মহাকালধামের কিছুটা দূরে হাতিটি রাস্তায় চলাচল করা একটি বাইকের দিকে তেড়ে যায়। বাইক আরোহী বাইক ফেলে কোনওরকম পালিয়ে প্রাণ বাঁচান। হাতিটি অবশ্য তাঁর বাইকে আঘাত করে।
শুক্রবারও একাধিকবার হাতিটি জাতীয় সড়কের ওপর উঠে পড়ে। এদিন সকালে প্রথম কলাখাওয়া নজরমিনারের গেটের ঠিক পাশে জাতীয় সড়কের ওপর দাঁড়িয়েছিল। রাস্তার ওপর হাতি দেখতে পর্যটকরা গাড়ি দাঁড় করান। ভিড় জমান আশপাশের এলাকার বাসিন্দারাও।
অনেককেই দেখা গেল হাতির ছবি তুলতে। খবর পেয়ে পুলিশের ট্যুরিস্ট বন্ধুর দায়িত্বে থাকা পুলিশকর্মীরা ঘটনাস্থলে পৌঁছান। সাইরেন বাজিয়ে হাতিটিকে জঙ্গলে ফেরত পাঠানো হয়। এক পুলিশকর্মী সুরজিৎ মল্লিক বলেন, ‘শুনেছি, হাতিটি মাঝে অনেককে তাড়া করেছে। দুর্ঘটনা এড়াতে হাতিটিকে জঙ্গলের ভেতরে পাঠিয়ে দেওয়ার পাশাপাশি সবাইকে এই বিষয়ে সচেতন করা হয়েছে।’