পূর্ণেন্দু সরকার, জলপাইগুড়ি: মাত্র ২০ টাকায় হাতিদের সঙ্গে সেলফি তোলার সুযোগ করে দিচ্ছে জলপাইগুড়ির গরুমারা বন্যপ্রাণ বিভাগ। জলপাইগুড়ির (Jalpaiguri News) ধূপঝোরা এলিফ্যান্ট ক্যাম্পের পিলখানায় কুনকি হাতিদের সঙ্গে পর্যটকদের সেলফি তোলার এই পরিকল্পনার নাম দেওয়া হয়েছে ‘এলফি’। বন্যপ্রাণ বিভাগের জেনি, হিলারি, মাধুরী, ডায়নার মতো কুনকি হাতিদের সঙ্গে দেড় ঘণ্টা কাটানোর ফাঁকে নিজের মুঠোফোনে নিজস্বী তোলার সুযোগ পাবেন পর্যটকরা। চলতি শীতের মরশুমেই ধূপঝোরার এই এলফি জোনের আনুষ্ঠানিক উদ্বোধন করা হবে।
ধূপঝোরায় (Dhupjhora) বন্যপ্রাণ বিভাগের এলিফ্যান্ট ক্যাম্প রয়েছে। ডিসেম্বর থেকে বন্ধ থাকা কটেজগুলিও খুলে দেওয়া হয়েছে। ধূপঝোরায় এলিফ্যান্ট ক্যাম্পেই রয়েছে কুনকি হাতিদের পিলখানা। এখানেই বন দপ্তরের মাহুত ও পাতাওয়ালাদের তত্ত্বাবধানে থাকে মাধুরী, হিলারিরা। প্রতিদিন জঙ্গলে টহল দিয়ে কলা গাছ সংগ্রহ করার পর নদীতে স্নান করিয়ে তাদের পিলখানায় নিয়ে আসা হয়। অনেক সময় পিলখানাতেই কুনকিদের স্নান করিয়ে দেন মাহুতরা।
ধূপঝোরা এলিফ্যান্ট ক্যম্পে কুনকি হাতিদের নদীতে স্নান করানোর সময় পর্যটকদের যাওয়ার অনুমতি ছিল। একসময় হাতিকে স্নান করাতেও পারতেন পর্যটকরা। কিন্তু সেসব এখন বন্ধ রয়েছে। পর্যটকদের কাছে আকর্ষণের কেন্দ্রে ছিল হাতিকে স্নান করানো। তা বন্ধ থাকায় পর্যটকদের কথা ভেবে এবার এলফি জোনের ব্যবস্থা করেছে গরুমারা বন্যপ্রাণ বিভাগ।
ডুয়ার্স ট্যুরিজম ডেভেলপমেন্ট ওয়েলফেয়ার সোসাইটির সভাপতি দিব্যেন্দু দেব বলেন, ‘বন দপ্তরের এই উদ্যোগ খুবই আকর্ষণীয় হবে। জঙ্গলে বেড়াতে আসা যে কোনও পর্যটক ধূপঝোরায় গিয়ে মাত্র ২০ টাকায় এন্ট্রি নিয়ে হাতিদের সঙ্গে পিলখানার সামনে থেকে সেলফি তুলতে পারবেন।’
পিলখানার কাছে হাতিদের থেকে কিছুটা দূরত্বে দেওয়া হয়েছে ব্যারিকেড, যাতে বাঁধা থাকা কুনকির সামনে কোনও পর্যটক যেতে না পারেন। এই ব্যারিকেডের মুখেই বেশ কয়েকটি সেলফি জোন। এলিফ্যান্ট ও সেলফি শব্দ দুটিকে মিলিয়ে এই জায়গার নামকরণ করা হয়েছে ‘এলফি জোন’।
আপাতত পিলখানার সামনে ব্যারিকেড ও এলফি জোন তৈরির প্রস্তুতি শুরু করেছে বন্যপ্রাণ বিভাগ। সকালের একটা নির্দিষ্ট সময় নাকি দুপুরের দিকে এলফি জোনে যাওয়ার অনুমতি মিলবে, তা এখনও চূড়ান্ত হয়নি। একসঙ্গে কতজন পর্যটক এলফি জোনে যেতে পারবেন, তাও খুব শীঘ্রই জানিয়ে দেবে বন দপ্তর।