জিষ্ণু চক্রবর্তী, গয়েরকাটা: পুজোর (Durga Puja) বাকি মাত্র কয়েকদিন। ইতিমধ্যে শুরু হয়েছে বৃষ্টি (Rain)। পুজোতেও বৃষ্টির পূর্বাভাস থাকায় জলপাইগুড়ির (Jalpaiguri) গয়েরকাটার (Gairkata) ঐতিহ্যবাহী দশমীর মেলা অনিশ্চিত হয়ে পড়েছে। মেলার মাঠে জলনিকাশি ব্যবস্থা নেই। ইতিমধ্যে বৃষ্টিতে কর্দমাক্ত হয়ে গিয়েছে মেলা প্রাঙ্গণ। শেষপর্যন্ত সুষ্ঠুভাবে মেলা না করা গেলে ক্ষতির মুখে পড়তে পারেন স্থানীয় ক্ষুদ্র ব্যবসায়ীরা। যাঁরা প্রতি বছর এই মেলায় লাভের আশায় থাকেন।
স্থানীয় জিলিপি বিক্রেতা লিটন সরকারের কথায়, ‘সারাবছর আমরা বিসর্জনমেলার অপেক্ষায় থাকি। বৃষ্টির জেরে যাতে মেলা পণ্ড না হয়, তা নিশ্চিত করতে পদক্ষেপ করার আর্জি জানাব প্রশাসনের কাছে।’ দশমীর মেলা এবছর থেকে দু’দিন করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে গয়েরকাটা সর্বজনীন বিসর্জন কমিটি। এতদিন হত একদিন। বৃষ্টি হলেও আয়োজকরা মেলার সুষ্ঠু আয়োজন করবেন বলে আশায় রয়েছেন এলাকাবাসী ও ব্যবসায়ী মহল।
স্থানীয় বাসিন্দা অমিত সেনগুপ্ত বলেন, ‘দশমীর মেলা গয়েরকাটা তো বটেই, গোটা জলপাইগুড়ি জেলার ঐতিহ্য। মাঠে জল জমা আটকাতে প্রশাসনের আগাম পদক্ষেপ করা উচিত। বৃষ্টি চললেও মেলার আয়োজন করার উপযুক্ত পরিবেশ তৈরি করতে প্রশাসন সদর্থক ভূমিকা নিক।’ গয়েরকাটা সর্বজনীন বিসর্জন কমিটির গত বছরের সম্পাদক দীপক সরকারের বক্তব্য, ‘কর্দমাক্ত মাঠ সংস্কারের ব্যাপারে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ করার জন্য প্রশাসনকে জানানো হয়েছে৷ বৃষ্টি নিয়ে চিন্তা রয়েছে। তবে ঐতিহ্যবাহী মেলার আয়োজন সুষ্ঠু করতে আমরা সর্বতোভাবে চেষ্টা চালাচ্ছি।’
প্রতি বছর গয়েরকাটায় আংরাভাসা নদীর তীরে দশমীঘাটে প্রতিমা নিরঞ্জন উপলক্ষ্যে মেলাটি শতাব্দীপ্রাচীন। যেখানে প্রায় ৭০টি প্রতিমা বিসর্জন হয়। প্রশাসন নির্ধারিত সময়েও পরের দিনও এই ঘাটে কয়েকটি প্রতিমার বিসর্জন হয়। তাই এ বছর থেকে দু’দিন বিসর্জন ও মেলা করার পরিকল্পনা করা হয়েছে বলে উদ্যোক্তারা জানিয়েছেন। ইতিমধ্যে মেলা প্রাঙ্গণে জল জমেছে। মাঠ এখন কর্দমাক্ত।
সেচ দপ্তর বিসর্জনঘাট তৈরির প্রকল্প হাতে নিলেও সেই কাজ এখনও শুরু হয়নি। টানা বৃষ্টি থাকলে মেলার আয়োজন ও বিসর্জনে সমস্যা হতে পারে বলে আশঙ্কা রয়েছে।