বার্মিংহ্যাম: ৮১তম ওভার শেষে ৩৫৫/৫। টার্গেট ৩৭১। জিততে আর মাত্র ১৬ রান প্রয়োজন। হাল ছেড়ে দেওয়া অবস্থা ভারতীয় দলের। গ্যালারিতে ততক্ষণে সমর্থক বার্মি আর্মির উৎসব শুরু। অথচ, তখনও নিশ্চিত হতে পারছিল না ইংল্যান্ড শিবির। সৌজন্যে জসপ্রীত বুমরাহ!
বুমরাহকে নিয়ে সেই কথাই শোনালেন ইংল্যান্ডের উইকেটকিপার জেমি স্মিথ। হেডিংলিতে জিতে ১-০ এগিয়ে বেন স্টোকস ব্রিগেড। ২ জুলাই বার্মিংহামে দ্বিতীয় টেস্ট। টার্গেট ২-০ এগিয়ে যাওয়া। তার আগে এদিন বুমরাহ-আতঙ্ক নিয়ে অকপট স্মিথ।
জেমি বলেছেন, ‘ওইসময় খুব বেশি রান দরকার ছিল না। কিন্তু আমরা নতুন বলে বুমরাহর মুখোমুখি এড়াতে চাইছিলাম। ও আক্রমণে আসার আগে চাইছিলাম ব্যবধান মুছে ফেলতে (রবীন্দ্র জাদেজাকে টার্গেট করেন তাই)। ক্রিকেটে কখন কী ঘটে বলা মুশকিল। দলের লোয়ার অর্ডারে ভরসা থাকলেও দুই বলে ম্যাচের রং বদলে যেতে পারে। তাই নতুন বলে বুমরাহ আসার আগে কাজ সেরে নেওয়া লক্ষ্য ছিল।’
যদিও ঘটনা হল, দ্বিতীয় নতুন বল নেওয়ার পর বুমরাহকে আক্রমণে আনেননি শুভমান গিল! তবে উলটো দিকে বুমরাহ থাকায় আত্মতুষ্টিতে ভুগতে রাজি ছিল না ব্রেন্ডন ম্যাককুলামের দল। জেমির কথায়, নতুন বল সবসময় গুরুত্বপূর্ণ। দুই-একটা উইকেট যেমন ম্যাচের মোড় ঘুরিয়ে দিতে পারে, তেমনই রানের গতিও বাড়ার সম্ভাবনা থাকে। হিসেব কষে তাঁরা এগোনোর চেষ্টা করেছেন। পুরোনো বলে তাই শেষদিকে জাদেজার বিরুদ্ধে বিগহিটের সিদ্ধান্ত।
ইংল্যান্ড জিতলেও ১০ উইকেটের জন্য দিনভর ভারতীয় বোলারদের প্রচেষ্টার প্রশংসা স্মিথের মুখে। একইসঙ্গে জানিয়ে দেন ড্র নয়, যে কোনও পরিস্থিতিতে জিততে হবে, ইতিবাচক মানসিকতা নিয়ে নামেন। গত তিন বছর ধরে টার্গেট বড় রান তাড়া করে জেতা। সেই কাজে হেডিংলেতে দ্রুতগতির আউটফিল্ড সাহায্য করেছে। পঞ্চম দিনের নিরিখে পিচও ব্যাটিং সহায়ক ছিল।
জেমি বলেছেন, ‘উইকেট ঠিকঠাক ছিল। উলটোপালটা আচরণ করেনি। নিজেদের যতটা সম্ভব স্বাভাবিক রেখে তাই সহজাত ব্যাটিংয়ে নজর দিয়েছিলেন। রানতাড়া বাড়তি কিছু করতে হয়নি। তবে প্রতিদিন ৩৭০ রান তাড়া করে জেতার মতো ঘটনা ঘটে না। ভারতীয় বোলাররা দশ উইকেটের জন্য মরিয়া প্রয়াস চালিয়েছে। গোটা ম্যাচেই দারুণ খেলেছে ওরা।’