মেলবোর্ন: এলেন, দেখলেন, জয় করলেন। স্যাম কনস্টাসের টেস্ট কেরিয়ারের প্রথম দিনটা অনেকটা সেরকমই। ৬৫ বলের ইনিংসে ভরসা জোগালেন ডেভিড ওয়ার্নারের জুতোয় পা গলিয়ে প্রাক্তনের যোগ্য উত্তরসূরি হয়ে ওঠার। উসকে দিলেন ওয়ার্নার-উত্তর পর্বে ওপেনিং কম্বিনেশন নিয়ে অজিদের চিন্তা দূর করার সম্ভাবনা।
৬টি চার, ২টি ছক্কা। জসপ্রীত বুমরাহর এক ওভারে ১৮ রান। ৪৪৮৩ বল পর টেস্ট আঙিনায় বুমরাহর বিরুদ্ধে কোনও ব্যাটারের ছক্কা হাঁকানোর সাহস! তাও আবার রিভার্স স্কুপে! তারুণ্যের তেজ। উনিশের হুংকার। ৬০ রানের ঝলমকে ইনিংস শেষে ২০তম ওভারে সাজঘরে যখন ফিরছেন- ঐতিহাসিক মেলবোর্নে নতুন এক তারকা উদয়ের হাতছানি।
কিছুটা সুর কাটল বিরাট কোহলির সঙ্গে ধাক্কার ঘটনায়। যদিও টেস্ট অভিষেকের আবেগ, হাফ সেঞ্চুরি দিয়ে অভিষেকের সামনে যে ঘটনাকে বাড়তি গুরুত্ব দিতে নারাজ তরুণ তুর্কি কনস্টাস। নিজের আইডল বিরাটের ধাক্কা নিয়ে সাফ জবাব-খেলার মাঝে এরকম হয়ে থাকে! গ্লাভস ঠিক করার দিকে নজর ছিল। বিরাটকে দেখেননি। আর এরকম ঘটনায় তিনি মোটেই হতাশ নন। বরং সেরাটা বের করে আনার রসদ জোগায়।
প্রতিফলন রিভার্স স্কুপে বুমরাহকে মারা ছক্কা দিনভর চর্চায়। দুঃসাহসী যে শট প্রসঙ্গে কনস্টাসের যুক্তি, ‘প্রচুর প্র্যাকটিস করেছি ওই শটটা নিয়ে। রিভার্স স্কুপ আমার জন্য অত্যন্ত নিরাপদ শটও। ওভাবে মারতে গিয়ে যদি আউট হতাম, তাহলেই বরং খুব খারাপ লাগত। বোলারদের শুরু থেকে চাপে রাখার লক্ষ্য নিয়ে নেমেছিলাম। লাইন-লেংথ বিগড়ে দিতেই রিভার্স স্কুপকে ব্যবহার করেছি। ভালো লাগছে আজ কিছু রান পেয়ে।’
বুমরাহকে প্রথমবার খেলার অভিজ্ঞতা প্রসঙ্গে কনস্টাসের সংযোজন, ‘প্রথমবার ওর মুখোমুখি হলাম। ওর অ্যাকশনের সঙ্গে মানিয়ে নেওয়া চ্যালেঞ্জ ছিল। বেশ কিছু বলে আমাকে পরাস্তও করেছে। কিছু ক্ষেত্রে আমি ভাগ্যবানও। ওর মতো কিংবদন্তির সঙ্গে টক্কর উপভোগ করেছি। নিজের সেরাটা বের করে আনতে যা সাহায্যও করেছে আমাকে।’
প্রথম স্পেল প্রত্যাশিত না হলেও প্রত্যাঘাতে দুরন্ত প্রত্যাবর্তন বুমরাহর। যার সুবাদে দিনের শেষে ভারতকে ম্যাচে ফিরিয়ে আনা। নবাগত কনস্টাসের মুখেও ভারতীয় স্পিডস্টারের যে প্রচেষ্টার কথা। মেনে নেন, তিন উইকেট নিয়ে মোমেন্টাম ফের বদলে দিয়েছে বুমরাহ। আগামীকাল ম্যাচের দ্বিতীয় দিন গুরুত্বপূর্ণ হতে চলেছে।