কালিয়াগঞ্জ: মাঝে মাত্র চার মাসের ব্যবধান। টাকার অভাবে অ্যাম্বুল্যান্স না পেয়ে ছেলেকে সঙ্গে নিয়ে স্ত্রীর দেহ কাঁধে চাপিয়ে ফিরতে হয়েছিল জলপাইগুড়ির বৃদ্ধ জয়কৃষ্ণ দেওয়ানকে। সম্প্রতি সেই একই রকম ঘটনার সাক্ষী থেকেছে কালিয়াগঞ্জ। টাকা না থাকায় অ্যাম্বুল্যান্স না পেয়ে ছয় মাসের ছেলের দেহ ব্যাগে ভরে উত্তরবঙ্গ মেডিকেল কলেজ থেকে ফিরতে হয়েছিল কালিয়াগঞ্জের অসীম দেবশর্মাকে। মঙ্গলবার সুদূর জলপাইগুড়ি জেলার ক্রান্তির নগরডাঙ্গা থেকে একটি স্বেচ্ছাসেবী সংস্থার দৌলতে কালিয়াগঞ্জের সেই মৃত শিশুর পরিবারের সঙ্গে দেখা করলেন জয়কৃষ্ণ।
এদিন মৃত শিশুটির বাবা অসীম দেবশর্মার সঙ্গে দেখা করে সমবেদনা জানান জয়কৃষ্ণ। পাশাপাশি, অসীমকে সঙ্গে নিয়ে নবান্নে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সঙ্গে দেখা করবেন বলেও জানান তিনি। স্বাস্থ্যসাথী কার্ডের দৌলতে হাসপাতালে মৃতদের দেহ যাতে বিনা পয়সায় বাড়িতে পৌঁছে দেওয়া হয়, সেই দাবি তিনি মুখ্যমন্ত্রীর সামনে রাখবেন বলে জানান। দাবি পূরণ না হলে আমরণ অনশনের পথে হাঁটবেন বলেও এদিন হুঁশিয়ারি দেন জয়কৃষ্ণ। তাঁর কথায় সমর্থন জানিয়ে অসীম বলেন, ‘আমিও মুখ্যমন্ত্রীর কাছে যেতে চাই। দেখা করে সমস্ত সত্য ঘটনা বলতে চাই তাঁকে।’
পেটের তাগিদে কেরলের একটি বোতল তৈরির কারখানায় কাজ করেন অসীম। তাঁর কথায়, ‘মঙ্গলবার সকালে আঙুল, মুখের ছবি তুলতে আমার এবং ভাইয়ের পরিবারকে প্রশাসনিক কর্তারা কর্ণজোড়ায় নিয়ে গিয়েছিলেন। প্রশাসনিক কর্তারাই বাড়িতে এসে স্বাস্থ্যসাথী কার্ড দিয়ে যাবেন বলে আশ্বস্ত করেছেন। তবে তা কবে পাব, জানি না।’