উত্তরবঙ্গ সংবাদ ডিজিটাল ডেস্কঃ পরিবারের দাবিকে মান্যতা দিয়ে হাইকোর্টের নির্দেশে কল্যাণী এমসে ময়না তদন্ত হবে জয়নগরে মৃত নাবালিকার। সোমবার পুলিশি নিরাপত্তায় মোমিনপুরের কাঁটাপুকুর মর্গ থেকে নিয়ে যাওয়া হয় এমসে। পৌনে ১০টা নাগাদ সেই গাড়ি পৌঁছেছে কল্যাণীতে। এলাকায় মোতায়েন করা হয়েছে প্রচুর পুলিশ। তবে জয়নগর এখনও থমথমে।
শুক্রবার গভীর রাতে জয়নগরে বাড়ি থেকে এক কিলোমিটার দূরে উদ্ধার হয় এক নাবালিকার দেহ। এদিন রাতেই গ্রেপ্তার করা হয় অভিযুক্তকে। পরিবারের অভিযোগ, ধর্ষণ করে খুন করা হয়েছে নাবালিকাকে। এই ঘটনায় পুলিশি হয়রানি ও নিষ্ক্রিয়তার অভিযোগ শনিবার দিনভর উত্তপ্ত থেকেছে মহিষমারি এলাকা। পুলিশ ফাঁড়িতেও উত্তেজিত জনতা আগুন ধরিয়ে দিয়েছিল। রবিবারও দিনভর উত্তপ্ত ছিল মহিষমারি। অভিযুক্ত খুনের ঘটনা স্বীকার করলেও ধর্ষণের কথা স্বীকার করেনি বলে দাবি করেছে পুলিশ। এরপরই পরিবারের লোকেরা রাজ্য সরকারি হাসপাতালের বদলে কেন্দ্রীয় সরকারের হাসপাতালে ময়নাতদন্তের দাবিতে সরব হয়। শেষমেষ কল্যাণী এমসে নাবালিকার দেহের ময়নাতদন্ত করানোর নির্দেশ দেয় কলকাতা হাইকোর্ট।
এদিকে ধীরে ধীরে স্বাভাবিক ছন্দে ফেরার চেষ্টা চলছে জয়নগরে। এদিন সকালে অনেক দোকানপাটই খুলে গিয়েছে জয়নগরের মহিষমারি বাজারে। কেনাবেচাও শুরু হয়েছে। তবে রাস্তায় স্বাভাবিকের চেয়ে বেশি সংখ্যক পুলিশ ঘোরাফেরা করছে। দফায় দফায় টহল দিচ্ছে পুলিশের গাড়ি। এলাকায় রয়েছে পুলিশ পিকেট।
মৃত শিশুর দেহের ময়নাতদন্ত করা হবে সোমবারই। কল্যাণী এমসে ময়নাতদন্ত সম্পন্ন হলে দেহ নিয়ে আসা হবে জয়নগরে। সেখানে শিশুর শেষকৃত্য সম্পন্ন হবে। ওই সময় যাতে নতুন করে গ্রামে যাতে উত্তেজনা না ছড়ায়, সে দিকে নজর রেখেছে প্রশাসন। মূলত সে কথা মাথায় রেখেই সোমবার সকাল থেকে এলাকায় পুলিশের সংখ্যা বৃদ্ধি করা হয়েছে।