মেখলিগঞ্জ: সরস্বতীপুজো মানেই বাঙালির ‘ভ্যালেন্টাইন্স ডে’। হলুদ শাড়ি, হলুদ পাঞ্জাবি পরে মণ্ডপে মণ্ডপে ঘুরে বেড়ানো, প্রসাদ নেওয়া। পাশাপাশি রয়েছে দেদার আড্ডা। মেখলিগঞ্জে বিদ্যালয় ও পাড়ার ছোটখাটো কয়েকটি সরস্বতীপুজো ছাড়া তেমন একটা চোখে পড়ে না। পুর এলাকায় প্রবীণ ও শিশুদের জন্য দুটি উদ্যান থাকলেও তরুণ-তরুণীদের সময় কাটানোর তেমন জায়গা নেই। কিন্তু তাতে কি, শহর থেকে মিনিট দশেকের দূরত্বে রাজ্যের দীর্ঘতম জয়ী সেতু। ওই সেতুই এখন পর্যটনের নয়া ডেস্টিনেশন। আর বাঙালির ভ্যালেন্টাইন্স ডে-তে তাই মেখলিগঞ্জের তরুণ-তরুণী থেকে পরিবারের সদস্যদের নিয়ে সময় কাটানোর মূল আকর্ষণ হয়ে উঠেছে জয়ী সেতু।
সোমবার সকাল থেকেই জয়ী সেতুতে তরুণ-তরুণীদের ভিড় জমতে থাকে। সেতুর পাশেই বসেছে গোলাপ ফুল সহ রকমারি খাবারের দোকান। গোলাপ হাতে অনেক তরুণ-তরুণীকে সেতুর ওপর হাঁটতে দেখা যায়। বিকেলের দিকে পরিবার নিয়ে অনেকেই জয়ী সেতুতে ঘুরতে আসেন। চলে দেদারে ছবি তোলা সহ সামাজিক মাধ্যমের জন্য রিলস বানানো। সেতুর উত্তর দিকের পাড়বাঁধে ভিড় ছিল চোখে পড়ার মতো। সরস্বতীপুজো উপলক্ষ্যে পিকনিকে মেতেছিলেন মানুষজন। মেখলিগঞ্জ মহকুমার বাসিন্দাদের পাশাপাশি দূরদূরান্ত থেকেও এদিন প্রচুর মানুষ জয়ী সেতুতে হাজির হয়েছিলেন সেতুর ওপর প্রিয়জনের সঙ্গে নিয়ে সময় কাটানোর জন্য। এত মানুষের ভিড় তাই যে কোনও ধরনের অপ্রীতিকর ঘটনা এড়াতে সেতুতে মেখলিগঞ্জ থানার ওসি মণিভূষণ সরকারের নেতৃত্বে বিশাল পুলিশবাহিনী মোতায়েন ছিল।
মেখলিগঞ্জ মহকুমার বাসিন্দা রিমি বেগম বলেন, ‘মেখলিগঞ্জবাসীর কাছে এখন আকর্ষণের মূল কেন্দ্রবিন্দু জয়ী সেতু। পুজো দেখার পর তাই বন্ধুবান্ধবদের সঙ্গে জয়ী সেতুতে আড্ডা দিতে আসা।’ জলপাইগুড়ির তরুণ সায়ন পালের কথায়, ‘জয়ী সেতুর নাম অনেকদিন ধরে শুনেছিলাম। এটা এখন রাজ্যের দীর্ঘতম সেতু। তাই সকাল সকাল পুজো সেরে বন্ধুবান্ধবরা মিলে জয়ীতে ঘুরতে চলে এসেছি। কিছুটা সময় কাটালাম। এখানে প্রচণ্ড ভিড় রয়েছে।’