উত্তরবঙ্গ সংবাদ ডিজিটাল ডেস্ক: আদালতের নির্দেশে চাকরি হারাতে হল পরেশ কন্যা অঙ্কিতা অধিকারীর জায়গায় চাকরি পাওয়া ববিতা সরকারকে। মঙ্গলবার বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়ের বেঞ্চ ববিতার চাকরি বাতিল করে তা অনামিকা রায়কে দেওয়ার নির্দেশ দিয়েছেন। তিন সপ্তাহের মধ্যে এই রায় কার্যকর করার নির্দেশও দিয়েছেন বিচারপতি। তিনি বলেছেন, বাড়ির কাছাকাছি কোনও স্কুলে নিয়োগের সুপারিশপত্র দিতে হবে অনামিকা রায়কে।
উল্লেখ্য, অবৈধভাবে মেধা তালিকার প্রথমে উঠিয়ে নিয়ে এসে রাজ্যের প্রাক্তন শিক্ষা প্রতিমন্ত্রী পরেশ অধিকারীর মেয়ে অঙ্কিতা অধিকারীকে বাড়ির কাছের সরকারি স্কুলে চাকরি পাইয়ে দেওয়া হয়েছিল বলে অভিযোগ করেছিলেন ববিতা সরকার। ববিতার অভিযোগের প্রেক্ষিতে আদালত পরেশ অধিকারীর মেয়ে অঙ্কিতা অধিকারী চাকরি খারিজ করে তা ববিতা সরকারকে দেওয়ার নির্দেশ দেয়। এমনকি অঙ্কিতার কাছ থেকে তার দু’বছরের মাইনে বাবদ পাওয়া টাকাও ফেরত নিয়ে নেয় আদালত। সেই টাকা ববিতাকে দিয়ে দেওয়া হয়। কিন্তু পরবর্তীকালে জানা যায় ববিতা সরকারের জায়গায় সেই চাকরির প্রকৃত প্রাপক শিলিগুড়ির বাসিন্দা অনামিকা রায়। চাকরি ফিরে পাওয়ার দাবিতে আদালতের দ্বারস্থ হন অনামিকা। সেই মামলার শুনানি শেষেই মধ্যশিক্ষা পর্ষদকে ববিতার চাকরি খারিজ করে তা অনামিকাকে দেওয়ার নির্দেশ দিয়েছেন বিচারপতি গঙ্গোপাধ্যায়।পাশাপাশি তাঁকে ১৬ লক্ষ টাকা কম্পেনসেশনও দিতে হবে এবং শীঘ্রই জয়েনিং করার নির্দেশও দেওয়া হয়েছে।
এদিন অনামিকা বলেন, ‘আমি জানতাম সত্যের জয় হবেই এবং আইনি ব্যবস্থার উপর আমার ভরসা ছিল। আমি যেহেতু ববিতার থেকে বেশি নম্বর পেয়েছিলাম, সে কারণে আমার বিশ্বাস ছিল যে দেরি হলেও হাইকোর্টের যে ফল সেই ফল আমার পক্ষেই যাবে।’