জলপাইগুড়ি: বৃষ্টির আশায় পাটচাষিদের অপেক্ষার শেষ নেই। অনেক চাষি ভেবেছিলেন সেই জানুয়ারি থেকে বৃষ্টি নেই, এবার হয়তো ঘূর্ণিঝড় রেমালের প্রভাবে জেলায় ভারী বৃষ্টি হবে। কিন্তু কই। সোমবার ছিটেফোঁটা বৃষ্টি হলেও তা পাট চাষের পক্ষে সুবিধাজনক নয় বলেই নিরাশ হতে হয়েছে জেলার পাটচাষিদের। এদিকে ডোবা, নালা, জলাশয়ে যৎসামান্য বৃষ্টিতে বৃষ্টির জল গরম মাটি টেনে নেওয়ায় মাথায় হাত পড়েছে পাটচাষিদের। এখন ভরসা মঙ্গলবারের ভারী বৃষ্টির পূর্বাভাস। যদিও কিছুটা স্বস্তি পেয়েছেন পাটচাষিরা বলে কৃষি দপ্তরের দাবি।
জলপাইগুড়ির বেলাকোবার পাটচাষি পরিমল বর্মন বলেন, ‘ভেবেছিলাম ঘূর্ণিঝড় রেমালের প্রভাবে বৃষ্টি ভালো হবে। বৃষ্টি হলে একদিক দিয়ে রেহাই পাওয়া যেত পাট চাষে। কিন্তু লাভ হল না। যেটুকু বৃষ্টি হল তাতে শুকনো মাটি সব জল নিমেষে টেনে নিয়েছে। এখন মঙ্গলবারের ভারী বৃষ্টির দিকেই তাকিয়ে রয়েছি।’
জেলা সেচ দপ্তর সূত্রে জানা গিয়েছে, রবিবার গভীর রাত থেকে সোমবার বিকেল পর্যন্ত জলপাইগুড়ি শহরে বৃষ্টি হয়েছে মাত্র ০.৮ মিমি, মালবাজারে ৩.২ মিমি, বানারহাট ভুটান সীমান্তবর্তী হওয়াতে ৩৪ মিমি এবং গজলডোবা পাহাড় সংলগ্ন এলাকার কাছাকাছি হওয়াতে সবচেয়ে বেশি, ৫৩.৮ মিমি বৃষ্টি হয়েছে। জেলা কৃষি দপ্তর সূত্রে জানানো হয়েছে, নাগরাকাটায় ৩.২ মিমি, মোহিতনগরে ১৩ মিমি, ধূপগুড়ির শালবাড়িতে ৫০.৪ মিমি বৃষ্টি হয়েছে। জেলা কৃষি দপ্তরের উপ অধিকর্তা গোপালচন্দ্র সাহা জানান, বৃষ্টির পরিমাণ খুবই কম। যেটুকু হয়েছে তা পাটচাষিদের কিছুটা হলেও কাজে আসবে।
এদিকে রেমালের ল্যান্ডফলের পর জেলায় মঙ্গলবার ভারী বৃষ্টি হবে বলে আবহাওয়া দপ্তর পূর্বাভাস দিয়েছে। তাই সমস্ত দপ্তরকে সতর্ক থাকতে বলা হয়েছে। জেলা শাসকের অফিসে বিপর্যয় মোকাবিলা দপ্তরে কন্ট্রোল রুম চালু করা হয়েছে। পরিস্থিতির উপর নজর রাখা হচ্ছে। জেলা শাসক ও জেলা নির্বাচন আধিকারিক শামা পারভিন জানান, কালিম্পং পাহাড় ও ভুটানের বৃষ্টিপাতের উপরেও তথ্য নেওয়া হচ্ছে সেন্ট্রাল ওয়াটার কমিশন (সিডব্লিউসি) থেকে।