কালিয়াচক: সালিশি সভায় পুলিশের উপর হামলার পর থেকে এখনও দফায় দফায় চলছে পুলিশি ধরপাকড়। আতঙ্কিত গ্রামবাসী। গ্রামের মানুষদের আশ্বস্ত করতে ও এলাকায় শান্তি ফেরাতে শুক্রবার বিকেলে শেরপুর গ্রামের মানুষজনের সঙ্গে কথা বললেন সাংসদ ইশা খান চৌধুরী।
কালিয়াচকের জালালপুর পঞ্চায়েতের শেরপুর গ্রামে একটি সালিশি সভাকে কেন্দ্র করে পুলিশ ও গ্রামবাসীদের মধ্যে সংঘর্ষ বাধে। সালিশি সভার লোকজন পুলিশের উপর হামলা চালায়। কয়েকজন পুলিশকে মারধর করা হয় বলে অভিযোগ। তারপরেই মঙ্গলবার রাত থেকে শুরু হয় পুলিশি ধরপাকড়। এতে গোটা গ্রামে ব্যাপক আতঙ্ক ছড়িয়েছে। সেদিন থেকে শেরপুর গ্রাম পুরুষশূন্য। এদিন আতঙ্কিত গ্রামবাসীদের আশ্বস্ত করতে ওই গ্রামে আলোচনায় বসেন দক্ষিণ মালদার সাংসদ ইশা খান চৌধুরী। গ্রামবাসীদের অভিযোগ, তল্লাশির নামে গ্রামবাসীদের উপর অত্যাচার চালাচ্ছে পুলিশ। যাঁরা এই ঘটনায় যুক্ত ছিলেন না তাঁদের বাড়িতেও রেইড করা হচ্ছে। বাড়ির দরজা ভেঙে দেওয়া হচ্ছে। বাড়িতে ভাঙচুর চালানো হচ্ছে। সাংসদ গ্রামবাসীদের বাড়ির বাইরে না থেকে বাড়িতে ঘুমানোর জন্য বলেন। যাঁরা এই ঘটনায় যুক্ত ছিলেন না, তাঁদের কোনওভাবেই হয়রানি করা হবে না বলে আশ্বাস দেন।
ইশা বলেন, ‘পুলিশ জনগণের শত্রু নয়। জনগণও পুলিশের শত্রু নয়। শেরপুর গ্রামে এক বধূ ও তরুণকে অবৈধ সম্পর্কের দায়ে ধরে ফেলে গ্রামের মানুষ। গ্রামের সবাই সালিশি সভা বসায়। সেই সভায় ছ’টি গ্রামের মানুষ উপস্থিত ছিলেন। ফলে কোন গ্রামের মানুষ পুলিশের উপর হামলা চালিয়েছিল তা স্পষ্ট নয়। গ্রামের মানুষ বলছে, সিসিটিভি ক্যামেরার ফুটেজ রয়েছে। সেই ফুটেজ দেখে পুলিশ অপরাধীদের চিহ্নিত করুক। আমরা পুলিশ সুপারের সঙ্গে কথা বলেছি। যে ক’জন পুলিশের উপর হামলা চালিয়েছে বা ঘটনার সঙ্গে জড়িত, তাদের ছাড়া পুলিশ কাউকে অযথা হয়রানি করবে না বলে তিনি আমাদের জানিয়েছেন। আগামীতে আমরা আবার পুলিশের সঙ্গে কথা বলব। ওই গ্রামে একটি ধর্মীয় জলসা হওয়ার কথা ছিল। এই ঘটনার পর বন্ধ হয়ে রয়েছে। ধর্মীয় জলসায় আমরা থানার আইসিকে নিয়ে আসব। আমিও থাকব।’