কালিয়াচক: ফাল্গুনী মরশুমে রেকর্ড পরিমাণ রেশমগুটি উৎপাদনে রেশম চাষে আগ্রহ বাড়াচ্ছে চাষিদের। ফলে রেশম চাষ আবার স্বমহিমায় ফিরবে বলে মনে করছেন অনেকে। রেশম চাষে উন্নত প্রযুক্তির ব্যবহার ও নীরোগ পলু পোকার ডিম সরবরাহের ফলে চলতি মরশুমে ব্যাপক রেশমগুটির উৎপাদনে রেশম চাষিদের চোখে মুখে হাসির ঝলক। ইদের আগে এ যেন সোনায় সোহাগা।
মালদায় (Malda) প্রায় ৬৫ হাজার পরিবার রেশমচাষের সঙ্গে যুক্ত। জেলার ১১টি ব্লকে রেশম চাষ হয়ে থাকে। প্রায় ৫ লক্ষ মানুষ এই শিল্পের সঙ্গে যুক্ত। মালদা জেলার অর্থনৈতিক শক্তি অনেকটাই রেশম শিল্পের উপর নির্ভরশীল। চলতি ফাল্গুনী মরশুমে মালদা জেলার বিভিন্ন এলাকায় রেশম চাষিদের নীরোগ পলুর ডিম সরবরাহ করা হয় রাজ্য সরকারের রেশম অফিসগুলি থেকে। পাশাপাশি আবহাওয়াও ছিল পলুপোকা চাষের অনুকূল। ফলে রেশমগুটি উৎপাদন রেকর্ড করে। এর আগের বছরগুলিতে পলু পোকা মরে যাওয়ার হার ছিল বেশি। পলু পোকা জীবাণুমুক্ত রাখতে উন্নতমানের বেডডিসইনফেকটন ও তুঁত পাতার গুণগতমানের উন্নতি করতে মাইক্রোনিওট্রেন ব্যবহার করা হয়। কালিয়াচক, মালদা জেলার চাঁচল, কালিয়াচক, মোথাবাড়ি ও করিমপুরের রেশমগুটিতে গোটা মার্কেট চত্বর ভরে যায়। মণ প্রতি ১৯-২৪ হাজার টাকা পর্যন্ত দাম ওঠে। রেশমগুটির মান ছিল খুবই ভালো। রেশম চাষের প্রতি আগ্রহ বাড়াতে রাজ্য সরকার বহু উন্নয়নমূলক প্রকল্প চালু রেখেছে। এরফলে রেশম চাষের আগ্রহ বাড়ছে এবং চাষিদের হাতে নগদ টাকাও আসতে শুরু করেছে। আগামিল্কি বাসনিটোলার অহেদ আলি বলেন, ‘প্রায় ১০ মণ গুটি কিনেছি। কালিয়াচক কোকুণ মার্কেটে উন্নতমানের গুটি নেমেছিল। এরকম গুটি তৈরি হলে ভালোমানের রেশম সুতো তৈরি করা সম্ভব হবে।’
চাঁচলের রাইহান শেখ নামের এক রেশম সুতো তৈরির রিলার বলেন, ‘প্রায় ৩০ মণ গুটি ২০ হাজার থেকে ২৩ হাজার ৫০০ মণ প্রতি দরে কিনেছি। তুঁত জমি, রেশম চাষ ও কাটাই শিল্পে উন্নত প্রযুক্তির ব্যবহারের ফলে রেশম শিল্প ঘুরে দাঁড়াতে চলেছে।’