কালিয়াচক: বিজেপি শাসিত উত্তরপ্রদেশে ফের কালিয়াচকের পরিযায়ী শ্রমিকদের ওপর অত্যাচার, প্রাণে মারার হুমকি দেওয়া হচ্ছে বলে অভিযোগ। এমনকি তাঁদের উত্তরপ্রদেশ ছেড়ে চলে যেতে বলা হচ্ছে। পরিযায়ীদের পরিবার এখবর শোনার পর তারা মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের হস্তক্ষেপ দাবি করেছেন। শ্রমিকদের ফিরিয়ে আনার অনুরোধ জানিয়ে কালিয়াচক থানায় লিখিত অভিযোগ দায়ের করেছেন পরিবারের সদস্যরা।
কালিয়াচকের সুজাপুর, মসিমপুর, জালালপুর সহ বিভিন্ন এলাকার প্রচুর পরিযায়ী উত্তরপ্রদেশের কুশিনগরে ফেরিওয়ালার কাজ করেন। ওই এলাকায় ঘর ভাড়া নিয়ে প্রায় ১০ বছর ধরে ফেরির কাজ করছেন। থাকেন ২৩ জন একসঙ্গে। সারাদিন জিনিসপত্র বিক্রি করে রাতে রান্নাবান্না করে খাওয়া-দাওয়া করেন। গত সোমবার সন্ধ্যা নাগাদ রান্না করার সময় কুশিনগর এলাকার কয়েকজন দুষ্কৃতী বিভিন্ন অভিযোগ তুলে ফেরিওয়ালাদের ওপর চড়াও হয় বলে অভিযোগ। তাদেরকে মারধর করে বলে অভিযোগ।
এই খবর জানাজানি হওয়ার পরেই পরিবারের লোকজন উদ্বিগ্ন হয়ে ওঠেন। ২৩ জন শ্রমিকের পরিবারের সদস্যরা কালিয়াচক থানায় পৌঁছান। মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের হস্তক্ষেপের দাবি জানিয়ে অভিযোগ দায়ের করেন। পরিযায়ী দুলাল শেখের এক আত্মীয় জানান, ‘কালিয়াচকের ২৩ জন পরিযায়ী উত্তরপ্রদেশের কুশিনগরের একটি ভাড়াবাড়িতে রয়েছে। প্রায় ১০ থেকে ১৫ বছর ধরে সেখানে বিভিন্ন গ্রামে ঘুরে জিনিসপত্র বিক্রির কাজ করেন। সেদিন সন্ধ্যা নাগাদ রান্না করছিলেন। ওই সময় ওই এলাকার কয়েকজন দুষ্কৃতী তাঁদের হামলা করে। সেই সঙ্গে প্রাণে মারার হুমকিও দেয়। আমরা চিন্তায় রয়েছি। প্রশাসন যেন বিষয়টি দেখেন।’
আরফাত শেখ বলেন, ‘আমরা শুনেছি ওখানে কালিয়াচকের শ্রমিকদের মারধর করা হচ্ছে। উত্তরপ্রদেশ থেকে চলে না গেলে তাদের খুন করার হুমকি দেওয়া হয়। রাতে উত্তরপ্রদেশ পুলিশ ২৩ জনকে আটক করে থানায় নিয়ে যায়। দুষ্কৃতীদের না ধরে ওদের কেন নিয়ে গেল? আমরা বুঝতে পারছি না। তাই কালিয়াচক থানায় অভিযোগ দায়ের করেছি। মুখ্যমন্ত্রীকে হস্তক্ষেপ করার অনুরোধ রাখি।’