সানি সরকার, শিলিগুড়ি: ভিড়ের ছবিটা প্রায় একই রকম। কিন্তু ২৪ ঘণ্টার মধ্যে পরিস্থিতির মধ্যে বিস্তর ফারাক। সোমবার নেতা-মন্ত্রী, রাজনৈতিক কর্মীদের উপস্থিতি ছিল বেশি। ভিভিআইপিদের ঘিরে নিরাপত্তার বেষ্টনী ছিল আঁটোসাঁটো। অথচ মঙ্গলবার নিরাপত্তা ব্যবস্থা বলতে শুধুমাত্র হাসপাতালের ভিতরের নজরদারি। উধাও নেতা-কর্মীরা। মেডিকেলের (North Bengal Medical) ইমার্জেন্সি বিভাগের সামনে দাঁড়িয়ে এক ব্যক্তি কটাক্ষ ছুড়ে দিলেন, ‘সোমবার রেলমন্ত্রী, মুখ্যমন্ত্রী, সাংসদরা এসেছিলেন। তাঁদের সঙ্গী ছিলেন আরও একঝাঁক স্থানীয় নেতা-কর্মী। মুখ দেখিয়ে যেন বোঝাতে চাইছিলেন, তাঁরা কতটা চিন্তিত। কতটা সক্রিয়। আজ বড় নেতা-মন্ত্রীরা আসবেন না, তাই তাঁদের মুখ দেখানোর বালাই নেই।’
চিকিৎসক থেকে স্বাস্থ্যকর্মীদের একাংশ সোমবারের মতোই তৎপর ছিলেন। তাঁদের ভরসা পেয়ে দুর্ঘটনার (Train Accident) ভয়াবহতা কিছুটা কাটিয়ে উঠতে পেরেছেন চিকিৎসাধীনরা। ফিমেল মেডিসিনে ভর্তি মাটিগাড়ার পুতুল মণ্ডলের কথায়, ‘ডাক্তারবাবু, নার্সদিদিরা বারবার আসছেন আমাদের কাছে। কথা বলছেন। স্বাস্থ্য পরীক্ষা করছেন। এর আগেও বহুবার মেডিকেলে এসেছি, এমন পরিষেবা পাইনি।’ একই কথা রানিডাঙ্গার রিপা ঘোষের।
তবে উলটো ছবিও রয়েছে। মেডিকেলের চিকিৎসা ব্যবস্থা নিয়ে কয়েকজন অসন্তোষ প্রকাশ করেছেন। ট্রেন দুর্ঘটনায় পা ভেঙে মেডিকেলে ভর্তি ছিলেন ডাক বিভাগের কর্মী পবন রবিদাস। তাঁকে এদিন মেডিকেল থেকে সরিয়ে শহরের একটি নার্সিংহোমে নিয়ে যান আত্মীয়রা। পবনের আত্মীয় উজ্জ্বল রবিদাসের বক্তব্য, ‘এখানে রাখলে কিছু হবে না। উন্নত চিকিৎসা প্রয়োজন। তাই নার্সিংহোমে নিয়ে যাচ্ছি।’
সকালে মেডিকেলে চলে আসেন শিলিগুড়ির (Siliguri) মহকুমা শাসক অবোধ সিংহল। তিনি হাসপাতালে ঢুকে চিকিৎসাধীন নদিয়ার কৃষ্ণনগরের বাসিন্দা বিশ্বনাথ শর্মার মাথায় হাত রেখে জিজ্ঞেস করলেন, ‘কেমন আছেন?’ পরবর্তীতে তিনি আরও অনেকের কাছে গিয়ে তাঁদের স্বাস্থ্য এবং চিকিৎসা পরিষেবা সম্পর্কে খোঁজখবর নেন। কথা বললেন চিকিৎসক এবং মেডিকেল কলেজ কর্তৃপক্ষের সঙ্গে। কয়েকজন রেল আধিকারিক দফায় দফায় মেডিকেলে এসে চিকিৎসা ব্যবস্থা নিয়ে খোঁজখবর করেছেন। মঙ্গলবারও দিনভর সাধারণের পাশে রইলেন সাধারণরা। এদিন সকালে বহু সমাজসেবীকে মেডিকেলে দেখা গিয়েছে। কেউ খোঁজ নিয়েছেন রক্তের প্রয়োজন কি না, কেউ আবার জখমদের পরিজনের খাবারের ব্যবস্থা করেছেন।
ট্রেন দুর্ঘটনার (Kanchanjunga Express Accident) পর একটি মৃতদেহের পরিচয় অধরা ছিল। মঙ্গলবার তাঁর পরিচয় জানা যায়। গোয়ালপোখরের বাসিন্দা অর্জুন রামের দেহ শনাক্ত করেন তাঁর দাদা সাজান রাম। সাজান বললেন, ‘ভাই অসমে কাজ করতে গিয়েছিল। সোমবার সকালেও ফোনে কথা হয়েছে। জানতাম কাঞ্চনজঙ্ঘা এক্সপ্রেসে ফিরছে। মেডিকেলে এসে নিশ্চিত হলাম ভাই মারা গিয়েছে।’ এদিন অর্জুনের পাশাপাশি বালিগঞ্জের বাসিন্দা শুভজিৎ মালির মৃতদেহ তাঁদের বাড়ির লোকেরা নিয়ে যান। গাড়ি সহ অন্যান্য ব্যবস্থা করা হয় রেল এবং রাজ্য সরকারের তরফে। মেডিকেল কলেজের ডিন ডাঃ সন্দীপ সেনগুপ্ত জানান, এদিন দুজনের ছুটি হয়েছে এবং দুজনের পরিবার রোগীকে নার্সিংহোমে নিয়ে গিয়েছে। বর্তমানে চিকিৎসাধীন ৩১ জন।
উত্তরবঙ্গ সংবাদ ডিজিটাল ডেস্কঃ বার্বাডোজে আসছে ভয়ঙ্কর ঘূর্ণিঝড়। যে কারণে বাতিল করা হয়েছে অনেক ফ্লাইট।…
উত্তরবঙ্গ সংবাদ ডিজিটাল ডেস্কঃ সম্প্রতি বিহারে ভেঙে পড়েছে একের পর নব নির্মিত সেতু। এ বার…
উত্তরবঙ্গ সংবাদ ডিজিটাল ডেস্কঃ লোকসভা ভোট শেষ হতেই দাম বাড়তে শুরু করেছে নিত্য প্রয়োজনীয় দ্রব্যমূল্যের।…
নাগরাকাটা: রাতভর তাণ্ডব চালিয়ে নাগরাকাটায় ৫টি বাড়ি ভেঙ্গে দিল বুনো হাতি। এর মধ্যে রয়েছে নাগরাকাটা…
আসানসোলঃ ২০২২ সালের ২০ ফেব্রুয়ারি রাত সাড়ে আটটা নাগাদ বড়সড়ো ডাকাতির ঘটনা ঘটেছিল আসানসোলের রানিগঞ্জ…
দুর্গাপুরঃ রবিবার সবে সকাল হয়েছে। সূর্যের আলো ফুটতেই নজরে এল বেশ কিছু পোস্টার। যা সাঁটানো…
This website uses cookies.