উত্তরবঙ্গ সংবাদ ডিজিটাল ডেস্ক: কলেজের মধ্যে ছাত্রীকে গণধর্ষণের অভিযোগ (Kasba Law College)। দক্ষিণ কলকাতা আইন কলেজের এক ছাত্রীকে কলেজের অন্দরেই গণধর্ষণের অভিযোগ ওঠে। পুলিশের প্রাথমিক অনুমান, বিয়ের প্রস্তাব প্রত্যাখ্যান করার কারণেই কলেজের গার্ডরুমে তালাবন্ধ করে ওই ছাত্রীকে গণধর্ষণ করা হয়েছে। যদিও গোটা ঘটনায় নাম জড়িয়েছে কলেজেরই দুই কর্মী ও প্রাক্তন পড়ুয়ার। ইতিমধ্যেই ওই তিনজনকে গ্রেপ্তার (Three Arrested) করেছে পুলিশ।
জানা গিয়েছে, মূল অভিযুক্ত দীর্ঘদিন ধরে ওই কলেজ ছাত্রীকে বিয়ের জন্য চাপ দিচ্ছিলেন। তিনি আগে থেকেই একটি সম্পর্কে ছিলেন বলে বিয়ের প্রস্তাবে রাজি হননি। প্রস্তাব নাকচ করতেই অভিযুক্ত তাঁকে ভয় দেখাতে শুরু করেন। তাঁর প্রেমিককে নানাভাবে ভয় দেখানোর পাশাপাশি ছাত্রীর বাবা-মাকেও মিথ্যে মামলায় ফাঁসানোর হুমকি দেন। কোনও কিছুতেই কাজ না হওয়ায় অবশেষে কলেজের ভেতরে তাঁকে আটকে রেখে গণধর্ষণ করা হয় বলে অভিযোগ।
ছাত্রীর আরও অভিযোগ, কলেজের গার্ডরুমে নিয়ে গিয়ে তাঁকে ধর্ষণ করা হয়েছে। ধর্ষণের ঘটনা মোবাইলে রেকর্ড করে তা ছড়িয়ে দেওয়ার হুমকি দেওয়া হয়। কার্যত সন্ধ্যে পর্যন্ত তাঁকে গার্ডরুমের মধ্যেই আটকে রাখা হয়। সন্ধ্যে পেরিয়ে যাওয়ার পর তিনি কলেজ চত্বর ছেড়ে যাওয়ার অনুমতি পান।
ইতিমধ্যেই কসবা থানায় এফআইআর দায়ের করার পর তিনজনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। এঁদের মধ্যে একজন মনোজিৎ মিশ্র (Manojit Mishra)। যিনি কলেজের প্রাক্তন ছাত্র। আর বাকি দুজন বর্তমান পড়ুয়া। মনোজিৎ গ্রেপ্তার হওয়ায় তৃণমূলের নাম জড়িয়েছে এই ঘটনায় কারণ তিনি শাসক দলের ছাত্র নেতা বলে জানা গেছে। তাঁর বিরুদ্ধেই মূলত অভিযোগ করেছেন ওই তরুণী।