বালুরঘাট: আসছে না আত্রেয়ীর জল (Atreyee river)। ফলে শুকিয়ে যাচ্ছে বালুরঘাটের কাশিয়া খাঁড়ি। এদিকে খাঁড়ির জল না পেয়ে সমস্যায় এলাকার হাজার হাজার কৃষক। জলের অভাবে সেচ দপ্তরের পাম্প মেশিন (Pump machine) বন্ধ হয়ে গিয়েছে। ঘটনায় প্রশাসনের উপর ক্ষোভ উগড়ে দিয়েছেন স্থানীয় বাসিন্দা থেকে কৃষকরা।
দক্ষিণ দিনাজপুরের বালুরঘাট ব্লকের (Balurghat) জলঘর পঞ্চায়েতের ভাতশালা ফতেপুর বিএসএফ ক্যাম্প সংলগ্ন স্থান থেকে কাশিয়া খাঁড়ির শুরু। বালুরঘাটের অন্তত দশটি পঞ্চায়েতের প্রায় পঞ্চাশটি গ্রামের মধ্যে দিয়ে প্রবাহিত এই খাঁড়ি। এটির দৈর্ঘ্য প্রায় চল্লিশ কিলোমিটার। বালুরঘাট, তপন ও গঙ্গারামপুরের বিস্তীর্ণ এলাকার কৃষকরা এই খাঁড়ির জলের উপর নির্ভরশীল। বছর দশেক আগেও সারা বছর জল থাকত কাশিয়া খাঁড়িতে। নদীর জলের যোগানে সেচ দপ্তর পরিচালিত অন্তত পনেরোটি আরএলআই সেন্টার সারা বছর চলত। কিন্তু সেন্টার গুলিতে সেচের জলের অভাবে বন্ধ হয়ে আছে অনেকের চাষবাস। গ্রামের কৃষকরা নিজেদের উদ্যোগে খাঁড়ির মাটি কেটে জল আনার চেষ্টা চালালেও সুফল বেশিদিন মেলেনি।
এবিষয়ে জলঘরের কৃষক স্বপন সরেন বলেন, ‘গ্রামবাসীরা মিলে পঞ্চাশ হাজার টাকা তুলে মেশিন দিয়ে খাঁড়ির মাটি কেটে আত্রেয়ী নদী থেকে জল আনা হয়েছিল। প্রথমের দিকে জল থাকলেও ফাল্গুন-চৈত্র মাস থেকে জল থাকছে না। বর্তমানে পুরো খাঁড়ি শুকিয়ে গেছে। তাছাড়াও আত্রেয়ী নদীতে স্বল্প উচ্চতার বাঁধ দেওয়ার ফলে এপারে জল কম আসছে।’ অন্যদিকে এবিষয়ে জেলা শাসক জানান, জেলা সেচ দপ্তরকে বিষয়টি খতিয়ে দেখার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।