উত্তরবঙ্গ সংবাদ ডিজিটাল ডেস্ক: গরমের সময় পেটের সমস্যা কমবেশি লেগেই থাকে। তাই শরীর ঠিক রাখতে ডায়েটে দই রাখা প্রয়োজনীয়। এমনটাই সবসময় বলেন পুষ্টিবিদরা। কারণ, প্রোবায়োটিক হিসেবে দইয়ের জুড়ি মেলা ভার। তবে জানেন কি দই পাতার সময়ে কয়েকটি কিশমিশ মিশিয়ে দিলে উপকারিতা আরও কয়েক গুণ বেড়ে যায়? কিশমিশে রয়েছে প্রচুর পরিমাণে দ্রবণীয় ফাইবার। দই আর কিশমিশের মিশ্রণেই প্রিবায়োটিক ও প্রোবায়োটিক দুটোই ভালো মাত্রায় পাওয়া যায়, যা হজমের কাজে সাহায্য করে এবং পেটে সংক্রমণের ঝুঁকিও কমায়। এছাড়া বদহজম এবং অম্বলের সমস্যা থেকে রেহাই পাওয়া যায়। পাশাপাশি কোষ্ঠকাঠিন্যের সমস্যা থাকলেও এটি খাওয়া যেতে পারে।
কীভাবে বানাবেন এই দই-কিশমিশ?
প্রথমে একটি বাটিতে গরম দুধ নিন। এবার তার মধ্যে চার থেকে পাঁচটি কিশমিশ দিয়ে দিন। এরপর সামান্য দই ওই দুধ-কিশমিশের মিশ্রণে দিয়ে ভালো করে ফেটিয়ে নিন। লক্ষ্য রাখবেন দইয়ের মিশ্রণটি যাতে ভালো করে পাত্রের সারা গায়ে লেগে যায়। তারপর ঈষদুষ্ণ দুধ দিয়ে হালকা করে মিশিয়ে নিয়ে পাত্রটি একটি ঢাকনা দিয়ে ঢেকে রাখুন। ৮ থেকে ১২ ঘণ্টা লাগবে দই জমতে। এই সময়ে একেবারেই বাটি নড়াচড়া করা চলবে না।
রোজ দই-কিশমিশ খেলে কী কী লাভ হবে? জেনে নিন…
১) যাঁরা পাইরিয়ার সমস্যায় ভুগছেন তাঁরা কিন্তু রোজ নিয়ম করে দই-কিশমিশ খেতে পারেন। এই মিশ্রণ ক্যালশিয়ামে ভরপুর যা দাঁত ও হাড় মজবুত করতে সাহায্য করে।
২) দই-কিশমিশ বাতের ব্যথার জন্য ভীষণ উপকারী। এ ক্ষেত্রে নিয়মিত খাদ্যতালিকায় দই-কিশমিশ রাখতে পারেন।
৩) দই-কিশমিশ রক্তে খারাপ কোলেস্টেরলের মাত্রা কমায়। রক্তচাপও নিয়ন্ত্রণে রাখে।
৪) ঋতুস্রাবের সময়ে অনেকেই পেটের ব্যথায় কষ্ট পান। এই সমস্যায় দই-কিশমিশ খেলে উপশম পেতে পারেন।