উত্তরবঙ্গ সংবাদ ডিজিটাল ডেস্কঃ দিল্লি সরকারের হাত থেকে অফিসারদের ট্রান্সফার পোস্টিংয়ের অধিকার নিজের হাতে নিতে চলেছে কেন্দ্র। ইতিমধ্যেই কেন্দ্র বিষয়টিতে অর্ডিন্যান্স জারি করেছে। কেন্দ্রের এই সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে বিরোধী দলগুলোকে নিয়ে একজোট হওয়ার আবেদন জানিয়েছেন দিল্লির মুখ্যমন্ত্রী তথা আম আদমি পার্টির সুপ্রিমো অরবিন্দ কেজরিওয়াল। ইতিমধ্যে সিপিএম এবং সিপিআই জানিয়ে দিয়েছে তারা এই অর্ডিন্যান্সের বিরোধিতা করবে। মঙ্গলবার দুপুরে নবান্নে বাংলার মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সঙ্গে বৈঠক হওয়ার কথা রয়েছে অরবিন্দ কেজরিওয়ালের। কেজরিওয়াল চাইছেন কেন্দ্রের অর্ডিন্যান্স রাজ্যসভায় আটকে দিয়ে মোদিকে লোকসভা ভোটের আগে জোর ধাক্কা দিতে।
অফিসারদের ট্রান্সফার পোস্টিংয়ের অধিকার নিজের হাতে নেওয়ার ক্ষেত্রে নিয়ম হল, ছয় মাসের মধ্যে সংসদের দুই কক্ষে ওই অর্ডিন্যান্স পাশ করাতে হবে কেন্দ্রীয় সরকারকে। লোকসভায় বিজেপির একক সংখ্যাগরিষ্ঠতা রয়েছে। কিন্তু রাজ্যসভায় শাসক জোট এখনও সংখ্যালঘু। এই পরিস্থিতির সুযোগ নিয়ে রাজ্যসভায় বিলটি আটকে দিতে বিরোধী জোট গড়ার পরিকল্পনা নিয়েছেন দিল্লির মুখ্যমন্ত্রী তথা আম আদমি পার্টির সুপ্রিমো অরবিন্দ কেজরিওয়াল। আর এই লক্ষ্যেই আজ বাংলার মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সমর্থন চাইতে কলকাতায় বৈঠক করতে আসছেন তিনি। দুপুরে এই বৈঠকের কথা রয়েছে নবান্নে। এই বৈঠকে ২০২৪-এর লোকসভা ভোটের আগে বিরোধী জোট গড়া নিয়েও কথা হবে বলে সূত্রের খবর।
আজ মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সঙ্গে বৈঠকের পর আগামীকাল অর্থাৎ বুধবার তাঁর মুম্বইয়ে এনসিপি সুপ্রিমো শরদ পাওয়ার এবং শিবসেনার উদ্ধব-বালাসাহেব গোষ্ঠীর নেতা উদ্ধব ঠাকরের সঙ্গে বৈঠক করার কথা। তারপর যাবেন তেলেঙ্গানা ও অন্ধ্রপ্রদেশে। তিনি যোগাযোগ রাখছেন সব বিরোধী দলনেতার সঙ্গেই। সোমবার কংগ্রেসের প্রবীণ নেতা আনন্দ শর্মাও জানিয়ে দিয়েছেন, হাত শিবির অর্ডিন্যান্সের বিরোধিতা করবে রাজ্যসভায়।কংগ্রেসের বক্তব্য, কেন্দ্রীয় সরকারের উচিৎ সেটি প্রত্যাহার করে নিয়ে আদালতের রায়কে মান্যতা দেওয়া।
অঙ্কের হিসেবে কেন্দ্রের অর্ডিন্যান্স রাজ্যসভায় আটকে দেওয়া সম্ভব। তবে বাধাও আছে। ওড়িশার বিজু জনতা দল, অন্ধ্রের জগনমোহন রেড্ডির দল অতীতে একাধিক বার এই ধরনের পরিস্থিতিতে বিজেপির পাশে দাঁড়িয়েছে। তারা সভায় অনুপস্থিত থেকে সরকারের সমর্থন বা বিরোধিতা কোনওটাই করে না। তাতেই শাসক দলের সুবিধা হয়েছে।